চীনের ছিংহাই প্রদেশে গ্রামাঞ্চলের বোর্ডিং স্কুলের গুণগতমান উন্নয়ন
২০২২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাদানের ভারসাম্য উন্নয়ন এবং শহর ও গ্রামের একীকরণ বাস্তবায়ন দ্রুত করা উচিত। এ উপলক্ষ্যে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা সম্পদের ভারসাম্য উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের ছিংহাই প্রদেশের সিনিং শহরের হুয়াং ইউয়ান জেলার তাহুয়া কেন্দ্রীয় স্কুলের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান মানের উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
স্থানীয় তাহুয়া কেন্দ্রীয় স্কুলের প্রেসিডেন্ট ওয়াং শেং পিং বলেন, শিক্ষা গ্রুপের সংস্কারের কাঠামোতে গ্রামাঞ্চলের স্কুলের শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হয়েছে। তাহুয়া মাধ্যমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ইয়ান শেং লং বলেন, যদিও আমার বাবা মা জেলায় নতুন বাড়িঘর কিনেছেন, তবে গত কয়েক বছরে আমি বোর্ডিং স্কুলে আছি। এভাবে পড়াশোনার কার্যকরিতা আরো ভালো হয়, বাবা মাও আমার পড়াশোনা নিয়ে কোনো চিন্তা করেন না।
এটি কেবল একটি উদাহরণ। জানা গেছে, চীনের ছিংহাই প্রদেশে ভিন্ন পর্যায়ের বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগতমান ও শ্রেষ্ঠ ভারসাম্য উন্নয়নের কর্মদল গঠিত হয়েছে, যাতে প্রদেশের ৪৫টি জেলায় বাধ্যতামূলক শিক্ষার ভারসাম্যের অবস্থা পুনপর্যালোচনা করা যায়। তা ছাড়া, প্রদেশের শিক্ষা তত্ত্বাবধান কমিটির অধিবেশনে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকার বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে, যাতে নির্দিষ্ট শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যায় এবং যারা চমত্কারভাবে শিক্ষার মান উন্নীত হয়েছে, এমন স্কুলের জন্য বিশেষ পুরস্কার ও ভর্তুকি ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাদেশিক পর্যায়ের গুরুত্ব ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কারণে চীনের ছিংহাই প্রদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্থানীয় হাইতং শহরে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ভারসাম্য উন্নয়ন পর্যালোচনা সম্মেলন আয়োজিত হয়, তাতে গুণগতমান শিক্ষা, শিক্ষার সমতা বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইয়ুশু তিব্বতি জাতির অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যে শিক্ষা উন্নয়ন সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তাতে ইয়ুশু গুণগতমান শিক্ষার উন্নয়নের ধারাবাহিক পরামর্শ ও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।ইয়ুশু অঙ্গরাজ্যের শিক্ষা কমিটির উপসম্পাদক চৌ মিং পাং বলেন, ২০২১ সালে ইয়ুশু অঙ্গরাজ্যের শাসনে বিভিন্ন শহর ও জেলায় বাধ্যতামূলক শিক্ষার দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট দুর্বলতা মোকাবিলা করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ২০২৬ সাল থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইয়ুশু অঙ্গরাজ্যের শাসনে একটি শহর ও ৫টি জেলায় বাধ্যতামূলক শিক্ষার ভারসাম্য ও গুণগতমান উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২৩ সালে চীনের ছিংহাই প্রদেশে বাধ্যতামূলক শিক্ষার কর্মসম্মেলন আয়োজিত হয়েছে। তাতে জেলা ও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা সমন্বয় করা, স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, স্কুলের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নত করা এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সুশৃঙ্খলভাবে বিনিময়, শিক্ষা সম্পদের কার্যকর বিনিময় এবং জেলা ও শহরের মধ্যে শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
ছিংহাই প্রদেশের হুয়াং ইউয়ান জেলার তাহুয়া উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল সিনিং শহরের সপ্তম মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সিনিং সপ্তম মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাই চাও তং তাহুয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় স্কুলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তিনি উন্নত শিক্ষা চেতনায় স্কুলের প্রশাসনিক দলের সাথে সহযোগিতা করেছে এবং স্কুলের উন্নয়নে সঠিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।
যেমন বহুমুখী মিডিয়া ক্লাসরুমের শিক্ষা সরঞ্জাম নবায়ন করা এবং মানসিক পরামর্শ ক্লাসরুম স্থাপন করা, শিক্ষার সম্পদ ও শিক্ষক দল উন্নত করা ইত্যাদি। শুধু তাহুয়া কেন্দ্রীয় স্কুলই নয়, হুয়াং ইউয়ান জেলার শেনচং উপজেলার কেন্দ্রীয় স্কুলও সিনিং শহরের দ্বিতীয় নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা গ্রুপে যোগ দিয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে এ স্কুলের শিক্ষার মানও ব্যাপক উন্নত হয়েছে।
২০১৬ সালে সিনিং শহরে বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কাঠামোতে শহরের শিক্ষা গ্রুপ জেলা ও গ্রামাঞ্চলের স্কুলের শিক্ষা মান উন্নয়নে পরামর্শ ও সহায়তা দিতে পারে। এভাবে শহরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা সম্পদ জেলা ও উপজেলায় স্থানান্তর করা সম্ভব, শিক্ষা গ্রুপের মাধ্যমে অনুন্নত এলাকার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার মান, শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা আর ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ফলাফলের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছে।
বর্তমানে সিনিং শহরে ‘শ্রেষ্ঠ স্কুল প্লাস দুর্বল স্কুল’, ‘শ্রেষ্ঠ স্কুল প্লাস নতুন নির্মিত স্কুল’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ স্কুল প্লাস উপকণ্ঠ স্কুল’ পদ্ধতিতে মোট ১২টি শিক্ষা গ্রুপ গঠন করেছে, এ কাঠামোতে শহরাঞ্চলের ২৭টি শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল ১৬টি জেলার স্কুল আর একটি জেলার মাধ্যমিক স্কুলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, তাতে মোট ৬৯ হাজার জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সিনিং শহরের এ নতুন অনুসন্ধান কার্যকর ফলাফল অর্জন করেছে, সেটি কেবল ছিংহাই প্রদেশের শিক্ষাদান উন্নয়নের একটি উদাহরণ। ২০১৬ সাল থেকে ছিংহাই প্রদেশে জেলা ও শহরের বাধ্যতামূলক শিক্ষার একীকরণ সংস্কার উন্নয়ন প্রস্তাব, নতুন যুগে শিক্ষক দলের উন্নয়ন ও সংস্কার, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা সম্পদের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন ও পর্যালোচনার ব্যবস্থা এবং গ্রামাঞ্চলের বোর্ডিং স্কুল নির্মাণসহ বিভিন্ন নীতি চালু হয়েছে।
২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছিংহাই প্রদেশে নতুন নির্মিত ও নতুন মেরামত বাধ্যতামূলক শিক্ষার স্কুলের সংখ্যা ৩৮৩০টি। সুপার বড় ক্লাসরুম, বিপজ্জনক শিক্ষাভবনসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করা হয়েছে, এভাবে বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে ব্যবধান এবং গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের স্কুলের পার্থক্য ব্যাপক কমে গেছে।
হাইতং শহরের লেতু এলাকার তংলিন স্কুলে পাঠ্যপস্তুক তৈরি, ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিটি দল, ড্রোন ও রবার্টসহ বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রযুক্তির সাথে জড়িত অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজিত হয়। ইয়ুশু অঙ্গরাজ্যের হংছি স্কুলে বই পড়ার কার্যক্রমে ছাত্রছাত্রীদের বড় হওয়ার পথে আরো বেশি জ্ঞান অর্জনের সম্ভাবনা প্রদান করে এবং ইয়ুশু অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় নম্বর জাতীয় স্কুলে ক্রীড়া ও শিল্পকলার চর্চায় বেশ দক্ষ, টানা কয়েক বছর ধরে যুব ফুটবল খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ছিংহাই প্রদেশের বিভিন্ন স্কুলে প্রাণবন্ত পরিবর্তন দেখা যায়। এ সম্পর্কে ছিংহাই প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক লি হাই শেং বলেন, বাধ্যতামূলক শিক্ষা চীনের শিক্ষাদান কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সরকার সংশ্লিষ্ট কাজে আর্থিক সহায়তা ও সমর্থন দিতে হয়। বাধ্যতামূলক শিক্ষার ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে আরো সমান ও গুণগতমান শিক্ষাদানের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা জরুরি। এভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলের একীকরণ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা যায়, গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে দেওয়া যায়, প্রতিটি স্কুল ভালো করে নির্মাণ করা এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ছিংহাই প্রদেশের বাধ্যতামূলক শিক্ষার মান উন্নত করা সম্ভব। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিন্ন আশাবাদ, যেটি স্থানীয় সরকারের অদম্য দায়িত্ব।
শিক্ষক দলের শক্তিশালী উন্নয়ন শিক্ষাদানের মান উন্নয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ ব্যবস্থা পূরণ করা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের বয়স ও শিক্ষার বিষয় উন্নত করাসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষক দলের সংস্কার চালু করা হয়েছে। এভাবে সংশ্লিষ্ট স্কুলে উপযোগী শিক্ষকদের নিয়োগ করা সম্ভব, বিভিন্ন শহর ও জেলার মধ্যে শিক্ষক ও স্কুলের প্রেসিডেন্টদের সাময়িক বিনিময় ব্যবস্থা চালু করেছে, যাতে তারা ভিন্ন স্কুলের শিক্ষার কাজে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে পারে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপন করে গ্রামাঞ্চল ও অনুন্নত এলাকার শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যাতে ভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা উন্নীত করা যায়। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের যোগ্যতাপত্রের পর্যালোচনা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, অনুন্নত এলাকার স্কুলের শিক্ষকদের বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হয়। এভাবে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকরা আরো মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকতার কাজ করতে পারেন। তাদের জীবনযাপনের জন্য কোনো চিন্তা বা উদ্বেগ থাকবে না।
ডিজিটাল শিক্ষার দ্রুত উন্নয়নে শিক্ষার কার্যকরিতা উন্নীত করা হয়। গত কয়েক বছরে শিক্ষার তথ্যায়ন পরিবেশ উন্নত করা হয়েছে, ছিংহাই প্রদেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে ডিজিটাল শিক্ষা সম্পদ যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা রয়েছে, বহুমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে, যাতে দেশের উন্নত প্রদেশের অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারে এবং অনলাইনের লাইভ ক্লাসে অংশ নিতে পারে। অন্যান্য প্রদেশের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের একই সঙ্গে ক্লাসে অংশ নেওয়া এবং একই হোমওয়ার্ক ও পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে কার্যকর হয়েছে। এটি বাধ্যতামূলক শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির একটি বড় অবদান ও ভূমিকা।
তা ছাড়া, ছিংহাই প্রদেশে স্কুল থেকে পড়াশোনা বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিভিন্ন জেলা ও গ্রামের বাচ্চারা যদি বাধ্যতামূলক শিক্ষা গ্রহণের বয়স পার হয়, তখন তাদের কাছে উপযোগী স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশেষ করে বাবা মা চাকরির জন্য অন্য শহরে গেছেন, তাদের গ্রামে থাকা বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপার নিশ্চিত করা স্থানীয় সরকারের মনোযোগী কাজ। এমন বাচ্চাদের জন্য সংশ্লিস্ট ফাইল তৈরি করা হয়, যাতে তাদের পড়াশোনার তথ্য সবসময় জানা যায়।
উদাহরণ হিসাবে বলি যে, ছিংহাই প্রদেশের চিশিশান এলাকায় রিক্টার স্কেলে ৬.২ ডিগ্রির ভূমিকম্প ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে ভূমিকম্পকবলিত এলাকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আবার পড়াশোনা শুরু করেছে। কারণ স্থানীয় সরকারি বিভাগ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভুমিকম্প এলাকার বাচ্চাদের জন্য একদিনের মধ্যে অস্থায়ী স্কুল নির্মাণ করা হয়। তারা মোটা কাপড়চোপড় পরে উষ্ণ ক্লাসরুমে পড়াশোনা করতে পারে। পয়লা মার্চ নতুন সেমিস্টার শুরু হয়েছে,তখন ভূমিকম্প এলাকার বিধ্বস্ত সব স্কুল নতুন করে নির্মিত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা নতুন স্কুলে বসে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করে।