সন্তানের শিক্ষায় চীনা বাবা-মা কত টাকা খরচ করেন?
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হয়েছে, চীন ইতোমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। চীনাদের পরিবারিক আয় বাড়ার সাথে সাথে জীবনযাপনের মান উন্নত হয়েছে, এবং একই সঙ্গে সন্তানের শিক্ষার জন্য চীনা বাবামা’র খরচও অতীতের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
অনুমান করুন তো, একটি পরিবারে বাচ্চার প্রিস্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত কত টাকা লাগবে? এ ব্যাপার নিয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনের শিক্ষাদান গবেষণাগারের গবেষক ওয়ে ই টানা ৭-৮ বছরের মতো গবেষণা করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।
চীনের লোকসংখ্যা ১৪০ কোটিরও বেশি। এতো বিশাল দেশের মধ্যে ভিন্ন এলাকা ও প্রদেশে শিক্ষার ব্যাপক পার্থক্য ও ব্যবধান রয়েছে। তাই চীনা মা-বাবারা বাচ্চাদের শিক্ষায় কত টাকা খরচ করছেন – এ সংশ্লিষ্ট জরিপের পরিসংখ্যান পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়।
বহু বছরের গবেষণার মাধ্যমে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনের শিক্ষাদান গবেষণাগার কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে ‘চীনা পরিবারে শিক্ষার খরচের তদন্ত প্রতিবেদন-২০১৭’ প্রকাশিত হয় এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ‘চীনা পরিবারে শিক্ষার খরচের তদন্ত প্রতিবেদন-২০১৯’ প্রকাশিত হয়েছে। এটিও পুরনো প্রতিবেদনের জরিপের ফলাফল ভিত্তি করে নতুন পরিসংখ্যান যুক্ত করার পর তৈরি করা হয়।
একসময় চীনের জাতীয় অর্থায়নে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির ৪ শতাংশে করার লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারিত হয় এবং গত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় ২০১২ সালে চীন সরকার তা সম্পন্ন করেছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ও অনলাইন ক্লাসের জনপ্রিয় হওয়ার কারণে অনলাইন শিক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দ্রুত উন্নতি হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চীনের বিভিন্ন আকারের শহরে তাদের অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা চালু করেছে। জরিপ থেকে জানা গেছে, চীনা পরিবারে সন্তানের শিক্ষার খরচ অব্যাহতভাবে বেড়েছে।
এ সম্পর্কে অধ্যাপক ওয়ে ই বলেন, চীনা নাগরিকদের আলোচনায় আমরা বুঝতে পেরেছি, ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় চীনা পরিবারের খরচ বাড়ার সাথে সাথে তাদের শিক্ষাদানে আরো বেশি সময় ও শক্তি দিতে হয়। এটি চীনা বাবা মায়ের জন্য দিন দিন উদ্বেগের একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনেস্কোর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, পরিবারের শিক্ষার অধিকাংশ খরচ বহন করা সরকারি শিক্ষার খরচ আর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা খরচ হিসাব করার পর একটি দেশের শিক্ষাদানের মোট খরচের ধারণা পাওয়া সম্ভব। তবে বিশ্বের ৬০ শতাংশেরও বেশি দেশ শিক্ষাদানে ব্যক্তিগত খরচের পরিসংখ্যান অভাব রয়েছে।
অধ্যাপক ওয়ে ই মার্কিন মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন, তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের শিক্ষাদানের খরচ নিয়ে তিনিও খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যানের সংগ্রহ ও সংহত করতে চেষ্টা করেছেন। যেমন গত শতাব্দীর ৭০’র দশকে ফ্রান্সে জাতীয় শিক্ষাদান আকাউন্ট চালু করে, এভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক সরকারের শিক্ষার খরচ, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার খরচ, পরিবারিক জরিপের পরিসংখ্যান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট পরিসংখ্যানসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
পরিবারিক জরিপ থেকে বিভিন্ন পরিবারের শিক্ষা খরচের সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান গবেষণাগার ‘চীনের শিক্ষাদানের পরিবারের খরচ জরিপ ’চালু করে সিচাং, সিনচিয়াং এবং হংকং, ম্যাকাও আর তাইওয়ান ছাড়া চীনের অন্যান্য প্রদেশের ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবার এ জরিপে অংশ নিয়েছে।
জরিপ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালে চীনে প্রতি পরিবারে শিক্ষার খরচে প্রায় ১১ হাজার ৩০০ ইউয়ান, প্রত্যেক সন্তানের মাথাপিছু শিক্ষার খরচ ৮ হাজার ১৩৯ ইউয়ান, শহর ও জেলায় শিক্ষার গড়পড়তা খরচ ১৪ হাজার ২০০ ইউয়ান, তা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১.৭ গুণ বেশি। একজন চীনা শিক্ষার্থী প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যন্ত পরিবারে শিক্ষার খরচ প্রায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ইউয়ান হয়। এর মধ্যে শিক্ষার নিম্ন খরচ পরিবারের বাজেট প্রায় ১.৮ লাখ ইউয়ান এবং কিছু পরিবারে শিক্ষার খরচ ৪ লাখ ২৪ হাজার ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। এ সব খরচের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, স্কুলের খাবার, কাপড়চোপড়, পরীক্ষা ও বোডিং স্কুলের ফি ইত্যাদি। স্কুলের বাইরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্লাস বা অনলাইন শিক্ষার ক্লাসও থাকে।
জরিপের ফলাফল অনুসারে অধ্যাপক ওয়ে ই অনুমান করে বলেন যে, চীনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষাদানে পরিবারের মোট খরচ প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ১৬৩ বিলিয়ন ২১ কোটি ইউয়ান, যা ২০১৮ সালে চীনের জিডিপির ২.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর চীনের শিক্ষা বাজেট পরিসংখ্যান ২০১৯ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে চীনের শিক্ষা খাতে মোট খরচ ৪ ট্রিলিয়ন ৬১৪ বিলিয়ন ৩০ কোটি ইউয়ান। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষার খরচ ৩ ট্রিলিয়ন ৬৯৯ বিলিয়ন ৫৭ কোটি ইউয়ান।
পরিবারের শিক্ষার খরচ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বিভিন্ন পরিবারের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষার পর্যায়ে তাদের খরচ সবচেয়ে কম এবং প্রিস্কু-ল পর্যায়ে তুলনামূলক কম। তবে উচ্চবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় পরিবারের আর্থিক বোঝা দ্রুত বেড়ে যায়। তাই গ্রামীণ পরিবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিক্ষার খরচ পরিবারের মোট খরচের ৩৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
২০১৮ সালে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্কুলের বাইরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্লাসের নিরাপত্তার ঝুঁকি, অতিরিক্ত শিক্ষার চাপ এবং পরীক্ষায় বেশি স্কোর পাওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সময় থেকে চীনের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের বাইরে ক্লাসে বিরাট পার্থক্য দেখা দেয়। একদিকে যাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চেতনা সমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো, এমন পরিবারে শিক্ষার্থীদের স্কুলের বাইরে প্রশিক্ষণ আগের মতো চলেছে, তাই পরিবারে শিক্ষার খরচও দিন দিন বেড়েছে। তবে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এ অতিরিক্ত ক্লাসের কারণে মানসিক দিকে বেশ চাপে থাকে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে চীনা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার চাপ কমিয়ে দেওয়ার জন্য চীন সরকার ‘দ্বৈত হ্রাস নীতি’ চালু করেছে। সেই সময় অধ্যাপক ওয়ে ই’র কর্মদলও সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাদের জরিপে স্কুলের চীনা ভাষা ও গণিতসহ বিভিন্ন ক্লাসের প্রশিক্ষণ খরচ কমে গেছে, তবে বাদ্যযন্ত্র বাজানো আর নৃত্য, চারুকলাসহ বিভিন্ন ক্লাসের ব্যয় একটু বেড়ে গেছে।
গত কয়েক বছরের জরিপ থেকে অধ্যাপক ওয়ে ই আরেকটি বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন, চীনা পিতামাতারা যত বেশি শিক্ষা গ্রহণের করেছেন, তারা ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষায় আরো বেশি ব্যয়ে আগ্রহী। অর্থাৎ চীনা পরিবারে মায়ের শিক্ষা যত বেশি, তাদের পরিবারে সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় তত বেশি।
আরেকটি প্রবণতা সারা বিশ্বে দেখা যায়, সেটা হল বিভিন্ন দেশের শিশু জন্মের হার ব্যাপক কমে গেছে। গত শতাব্দীর ৮০’র দশক থেকে চীন ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করে, তখন থেকে চীনের বিভিন্ন শহরের পরিবারে এক সন্তান বেশি দেখা যায়। ২০১৫ সালে চীনের জাতীয় জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা কমিটির ‘চীনা পরিবার উন্নয়ন প্রতিবেদন’ থেকে জানা গেছে, চীনে ৩ জন বা ৩ জনের চেয়ে কম সদস্যের পরিবারের সংখ্যা দেশের মোট সংখ্যার ৭০.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, তাদের মধ্যে দম্পতি ও এক সন্তানের পরিবারের সংখ্যা ৬৪.৩ শতাংশ।
জরিপ থেকে জানা গেছে, এক সন্তানের পরিবারের ক্ষেত্রে স্কুলের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরিমাণ আরো বেশি, বিশেষ করে চারুকলা, নৃত্য বা অন্যান্য শখের প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরিমাণ বেশি।
শিক্ষার ব্যয় দিকে বিবেচনা করলে উচ্চ আয়ের পরিবারের মেয়েরা সাধারণত পিয়ানো, সংগীত, চারুকলা ও ভাষার উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ওয়ে বলেন, মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বাবা মায়ের কথা বেশি শোনে।
নিম্ন আয় পরিবারে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার ব্যয়ে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন তারা সন্তানদের পড়াশোনার স্কোরের ওপর আরো মনোযোগ দেন, যদি লেখাপড়ার ফলাফল ভালো হয়, তাহলে তাদের শিক্ষাবাবদ খরচ আরো বেশি করেন। যখন তাদের সন্তান উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন পরিবার পড়াশোনায় আরো বেশি প্রশিক্ষণ ব্যয় দিতে চায়।
অন্যদিকে, উচ্চ আয়ের পরিবারের পিতামাতা সন্তানদের পড়াশোনায় অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তিত নয়। তাই সন্তানের পড়াশোনার ফলাফল ভালো হচ্ছে কিনা তা এমন পরিবারের পিতামাতাদের জন্য বড় ব্যাপার নয়। তারা সন্তানদের বিভিন্ন দক্ষতার অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন, তাই পিতামাতারা ছেলেমেয়েদের স্কুলের বাইরে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করাতে আগ্রহী।
চীনের লোকসংখ্যার পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, চীনা নারীদের সন্তান জন্মগ্রহণের বয়স ২৬ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত হয়েছে এবং পুরুষদের বাবা হাওয়ার বয়স ২৭ বছর থেকে ৩২ বছরে উন্নীত হয়েছে।
শহর ও জেলায় যুবক বাবা-মা তাদের সন্তানদের শিক্ষায় আরো বেশি টাকা দিতে চান। সন্তান জন্মগ্রহণের সময় যত দেরি, তাদের শিক্ষায় তত বেশি টাকা দিতে আগ্রহী বাবা-মা।
চীনের শহর ও জেলায় বাচ্চাদের জন্মগ্রহণের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার মূল কারণ দুটি, নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়স পিছিয়ে যাওয়া এবং সন্তানদের শিক্ষাদানে পরিবারিক খরচের বেড়ে যাওয়া।
তবে চীনের গ্রামাঞ্চলে শহরের সাথে কিছু পার্থক্য দেখা দেয়। যেমন গ্রামাঞ্চলে যুব পিতামাতারা সন্তানদের স্কুলের বাইরে শিক্ষায় আর বেশি টাকা দেন না। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ওয়ে মনে করেন, সেটি গ্রামাঞ্চল আর শহর এলাকার পিতামাতাদের চিন্তাভাবনার সাথে জড়িত।
তাছাড়া, চীনের বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ ক্লাস অংশ নেওয়ার পরিমাণ নিয়ে গবেষক দল জরিপ করেছে। ২০১৯ সালে স্কুলের বাইরে প্রশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের পরিমাণ ২৪ শতাংশ, ২০২২ সালে এ পরিমাণ ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে চীনে শিক্ষার জন্য ‘দ্বৈত হ্রাস নীতি’ চালু করার পর নিম্ন ও উচ্চ আয় পরিবারের জন্য শিক্ষার ব্যয় বেশি পার্থক্য দেখা যায় না, তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে শিক্ষার ব্যয় কিছুটা কমে গেছে।
অধ্যাপক ওয়ের জরিপ থেকে বোঝা যায়, চীনা পরিবারে সন্তানদের শিক্ষায় ব্যয় করা স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য ব্যাপার। অনেক পরিবার বিশেষ করে যাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো, তারা ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় আরো বেশি টাকা দিতে আগ্রহী। প্রিস্কুল পর্যায় থেকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা পর্যায়ে পর্যন্ত শহরের শিক্ষার ব্যয় গ্রামাঞ্চলের ৩ গুণে দাঁড়িয়েছে। উচ্চবিদ্যালয় পর্যায়ে শহর ও গ্রামাঞ্চলের এমন ব্যবধান কমে গেছে।
অধ্যাপক ওয়ে ই মনে করেন, শিক্ষার ব্যয় এবং অন্যান্য খাতের ব্যয়ের সবচেয়ে পার্থক্য হল, শিক্ষার খাতে ক্রেতারা হল পিতামাতা, তবে তাদের সন্তান সংশ্লিষ্ট পরিষেবা গ্রহণ করে। তাই পিতামাতা ও সন্তানদের একই ব্যাপারে অনুভূতি পুরোপুরি ভিন্ন। সেটি বাস্তব পণ্যদ্রব্য ক্রয়ের মতো নয়। স্কুলের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাসে যোগ দেওয়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দক্ষতার উন্নয়নে কী কী ভুমিকা পালন করেছে, সেটিও বাচ্চাদের ব্যক্তিগত মেধা বা লেখাপড়ার অভ্যাসের সাথে জড়িত।