নাটকের নতুনত্ব নিয়ে কথা বলেছেন পরিচালক থিয়েন ছিনসিন
ইভেন্ট সাইটে, চীনা ও ইতালীয় ব্যালে ট্রুপ, আর্ট একাডেমি, পেশাদার প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক উদ্যোগের প্রতিনিধিরা অনলাইন এবং অফলাইনে সফরটি উন্মোচন করেছেন। অতিথিরা বিশ্বাস করেন যে, নৃত্যনাট্য চীনা ও পশ্চিমা সংস্কৃতির একীকরণের প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আরও ভাল উচ্চ-মানের পারফর্মেন্স তৈরি ও প্রবর্তন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন এবং জনসাধারণের কাছে আরও সৃজনশীল শৈল্পিক আনন্দ নিয়ে আসবেন।
রোমান ব্যালে নৃত্যনাট্য "জুলিয়েট এন্ড রোমিও" এর চীনা সফর চীন এবং ইতালির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প। ব্যালেটি আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চীনে আসবে। তারা বেইজিং, শাংহাই, হাংচৌ, গুয়াংচৌ, শেনজেন এবং ইয়াংচৌ সহ ১০টি শহরে চীনা জনসাধারণের জন্য একটি ব্যালে ভোজ নিয়ে আসবে।
রাস্তা শিল্পীরা ক্যানবেরার দেয়ালকে সুন্দর শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করে
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা রঙিন হয়ে ওঠে। লোকেরা নতুন রঙ, নতুন ম্যুরাল এবং নতুন গ্রাফিতি লক্ষ্য করছে। রূপান্তরের কারণ হল স্ট্রিট আর্ট। কয়েক ডজন শিল্পী অসাধারণ এবং প্রাণবন্ত আর্টওয়ার্ক দিয়ে ক্যানবেরার দেয়ালকে আঁকা দিয়েছেন।
কিছু মাস আগে ক্যানবেরা এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন জায়গার ৩৫জন শিল্পী শহর রূপান্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত হন। ব্র্যাডন নামক একটি উপশহরে, টিম ফিবস সহ কিছু ম্যুরাল শিল্পী একটি ভবনের বাইরের দেয়ালে একটি বিশাল ম্যুরালে কাজ করেছিলেন। ম্যুরাল শিল্পী টিম ফিবস বলেন,
‘আমরা ঐতিহ্যবাহী গ্রাফিতি করছি যা বেশিরভাগ লোকেরা আমাদের শহরে দেখে, কিন্তু আমরা প্রথম জাতি, দেশের শিল্পীর গল্প, প্রতিকৃতি, বিমূর্ত, ল্যান্ডস্কেপের মতো জিনিসগুলিও করছি, এটি একটি বৃহৎ স্কেলে গ্রাফিতি যেকোনও ধরণের সূক্ষ্ম শিল্পের মতো। আমরা আসলে যা করতে চাই তা হল, প্রথমত, এখানকার স্থানীয় মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করা। তাই সুন্দরভাবে একটি দুর্দান্ত উত্সব তৈরি করেছি যেখানে তারা এসে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে।”
শিল্পকর্মগুলি শৈলী, ধরণ, থিম, উপকরণ ও তার আকার পরিবর্তিত হয়। সিডনির গ্রাফিতি শিল্পী ক্লেয়ার ফক্সটনও খুব আলাদা কিছু নিয়ে কাজ করেছিলেন। ক্লেয়ার বলেন, “ আমাকে সেই প্রকল্পে অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যা উত্তেজনাপূর্ণ: শহরের চারপাশে ৩০জন অদ্ভুত শিল্পী। এটি একটি মিশ্রণ, বিমূর্ত বাস্তববাদের মিশ্রণ। সুতরাং আপনি এখানে কিছু পাতা বেরিয়ে আসতে দেখবেন, যাতে এটি শেষ হলে, তা খুব বাস্তবসম্মত হবে।”
এ ছাড়া দেশীয় শিল্পকর্ম রয়েছে যা পুরো ক্যানবেরা জুড়ে প্রদর্শিত হয়েছে। আদিবাসী উইরাডজুরি জাতির ক্রিস্টি পিটার্স ঈগল সমন্বিত একটি ম্যুরাল এঁকেছেন। তিনি বলেন,
“আমি যে শিল্পের বিশেষ অংশে কাজ করছি, এটিকে মালিয়ান ঈগল বলা হয়। এটি দেশের একটি স্বীকৃতি এবং আমি পৃথিবীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই।”
এই শিল্পীদের জন্য, একটি বিশাল ওপেন-এয়ার গ্যালারি তৈরি করা যা শহরের প্রত্যেকে উপভোগ করতে পারে। তা এই রাস্তার শৈল্পিক প্রচারের মূল অংশ।
জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই