বাংলা

পশ্চিমাঞ্চলসম্পর্কিত মহা থাং রাজবংশীয় নথিসমূহ এবং প্রসঙ্গকথা

CMGPublished: 2023-07-29 19:18:52
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

হিউয়ান সাং চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সেতু নির্মাণ করেছিলেন। চীনে ফিরে আসার পর তার মৃত্যু পর্যন্ত ১৯ বছরে, তিনি ১৩ মিলিয়নেরও বেশি শব্দের ৭৫টি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করেন। তাঁর অনুবাদ করা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলো ছিল উচ্চ মানের। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের অনুবাদ খুবই কঠিন। সংস্কৃত ক্লাসিক বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলোকে চীনা ভাষায় অনুবাদ করার জন্য শুধুমাত্র বিদেশী ভাষার ওপর দখল থাকলে চলে না, বৌদ্ধধর্মের গভীর উপলব্ধি থাকাও প্রয়োজন। পাশাপাশি, হিউয়ান সাং কিছু চীনা দার্শনিক রচনাকে প্রাচীন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন এবং ভারতীয় জনগণের সামনে চীনা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন।

হিউয়ান সাং-এর পশ্চিমে যাত্রার সময়, চীন ও ভারত প্রথমবারের মতো কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করে। হিউয়ান সাং ভারতীয় রাজার কাছে থাং রাজবংশের দুর্দান্ত অবস্থার পরিচয় দেন, যা তাকে এর জন্য আকুল করে তুলেছিল। কয়েক বছর পরে, যখন থাং রাজবংশের দূতেরা ভারতে যান, তখন ভারতের রাজা বিভিন্ন ধন ও ভারতের মানচিত্র প্রদান করেন এবং আশা করেন যে, থাং-এর সম্রাট তাকে লাও জি-র ছবি ও ‘তাও তে চিং’-এর বই দেবেন।

থাং থাই জং-এর অনুপ্রেরণা ও আহ্বানে, হিউয়ান সাং ধর্ম সন্ধানের জন্য পশ্চিমে ভ্রমণের সময় যা দেখেছিলেন ও শুনেছিলেন তার উপর ভিত্তি করে "পশ্চিমাঞ্চলসম্পর্কিত মহা থাং রাজবংশীয় নথিসমূহ" লিখেছিলেন। এই বইটি প্রাচীন ভারত ও পশ্চিম অঞ্চলের দেশগুলোর ইতিহাসসম্পর্কিত একটি দুর্দান্ত বিশ্বকোষ। এটি কেবল পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেনি, বরং প্রাচীনকালের পশ্চিম অঞ্চল, ভারত, মধ্য-এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের জন্য এটি অত্যন্ত উচ্চ মূল্যবান নথি।

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn