জেংডিংয়ের অতীত এবং বর্তমান
১৯৮২ সালের বসন্তকালে সি চিন পিংয়ের বয়স তখনও ২৯ বছর হয়নি। তিনি হ্যপেই প্রদেশের জেংডিং জেলায় যান। তিনি ইতিহাসের বিষয়ে অনেক আগ্রহী ছিলেন। তিনি স্থানীয় প্রাচীন স্থাপত্য কমপ্লেক্স এবং গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দ্বারা আকৃষ্ট হন। তিনি জেলার ইতিহাস, ঐতিহাসিক উপকরণ পড়েছিলেন, রাস্তায় এবং গলিতে হেঁটেছিলেন, প্রাচীন সাইট জরিপ করেছিলেন। এই ধ্বংসাবশেষ ইতিহাস বহন করে, যা তাঁর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
লিউ সিউচেন
জেংডিং জেলার আবাসিক ও স্বেচ্ছাসেবক একাডেমিক গাইড
“আমাদের প্রাচীন শহর ঝেংডিং এর এক হাজার ছয়শ’ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে। এই প্রাচীন টাওয়ারগুলি আমাদের সম্পদ এবং এসব জাতীয় সম্পদও বটে। এগুলি যে এত ভালভাবে সংরক্ষিত তার কারণ হল, সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং যখন এখানে ছিলেন তখন তিনি ঐতিহ্য রক্ষায় অনেক গুরুত্ব দিয়েছিলেন।”
লিউ সিউচেন:
"চারপাশে এসব টাওয়ারের মতো, এসব আগে আমরা দেখতাম। তবে তা আরও জনশূন্য ছিল।"
জনাব সি চিন পিং বলেন, “সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ চমত্কার সভ্যতা ধারণ করে, ইতিহাস ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী এবং জাতীয় চেতনাকে টিকিয়ে রাখে। যা আমাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া একটি মূল্যবান ঐতিহ্য।”
ছেং হুয়াই পাও
“যখন তিনি এখানে ছিলেন, তখন তিনি নিয়মিত লংসিং মন্দরে যেতেন। তিনি মন্দিরের সব শিলালিপি পড়ে দেখতেন। প্রতিটি শিলালিপি কে লিখেছে- সে সম্পর্কে তিনি কৌতূহলী ছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমাদের জেলায় প্রচুর সাংস্কৃতিক নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাপনা দুর্বল। আমরা সংস্কৃ তির একটি প্রাচীন জেলা এবং তা লালন ও প্রচার উচিত।”
জেংডিং-এ অনেক জাতীয় সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ দেখে সি চিন পিং দুঃখ পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "আমরা যদি সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলি না-রাখি, তাহলে আমাদের পাপ হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে লজ্জিত হব।"