বাংলা

"ওয়েন শিন তিয়াও লং": সাহিত্যের আলোয় আলোকিত বিশ্ব

CMGPublished: 2023-06-02 19:46:25
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

"ওয়েন শিন তিয়াও লং" চীনের নানছাও রাজবংশের একজন সাহিত্যিক লিউ শিয়ের সৃষ্টি। চীনা সাহিত্যতত্ত্বের ইতিহাসে এটি প্রথম মনোগ্রাফ। বইটিতে ১০টি খণ্ড এবং ৫০টি প্রবন্ধ রয়েছে। কনফুসিয়াসের নান্দনিক চিন্তাধারার ওপর ভিত্তি করে, এতে ছি এবং লিয়াং রাজবংশ আমলের আগের নান্দনিক তত্ত্বের সারসংক্ষেপ করা হয়েছে। এতে নিবন্ধ লেখার কলা-কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে।

"ওয়েন মিন তিয়াও লং"-এর প্রকাশনা সময়ের বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। নানছাও এবং পেইছাও রাজবংশ আমলে, অনেক অভিজাত বংশ ছিল। লিউ শিয়ে একটি দরিদ্র পরিবারের ছেলে হলেও, তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অসামান্য প্রতিভা ছিল; কিন্তু তা প্রকাশ করার সুযোগ ছিল না। তাঁর মা আশা করেন যে, তিনি দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন এবং এমন একটি নিবন্ধ লিখতে পারবেন, যা মানুষকে কীভাবে নিবন্ধ লিখতে হয় তা শেখাবে।

যখন ছোট ছিলেন, তখন তিনি প্রায়শই স্বপ্ন দেখতেন, রঙিন মেঘ তাড়া করছেন এবং ঋষি কনফুসিয়াসের সাথে কথা বলছেন। কনফুসিয়াস কেন বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখে গেছেন, তা নিয়েও তিনি প্রায়শই চিন্তা করতেন। বিশ্বে নৈতিকতার অবক্ষয় চলছিল, বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলছিল যুদ্ধ-বিগ্রহ। তেমন একটা সময়ে তিনি বড় হয়েছেন এবং তাঁর চিন্তা-ভাবনা গড়ে উঠেছে।

পরে তিনি তিংলিন মন্দিরে বই কপি করতে আসেন। তিনি একবার ভাবলেন, নিরিবিলি শান্তিতে বাকি জীবন মন্দিরে কাটিয়ে দেবেন। অনেকেই আসে এবং চলে যায়; কিন্তু তিনি মন্দিরেই থাকতে থাকেন। তিনি নীরবে একের পর এক বছর কাটিয়ে দিতে থাকেন এবং এসময় তাঁর সাহিত্যিক মনন গড়ে উঠতে থাকে।

তিনি প্রায়ই ভাবতেন যে, কী ধরনের প্রবন্ধকে ‘রঙিন মেঘ’ বলা যায়? তিনি তিংলিন মন্দিরের সমস্ত বই পড়ে ফেলেন। তিনি সর্বদা অনুভব করতেন, যে এসব বইয়ের মধ্যেও কিছু একটার অভাব আছে। তিনি অবশেষে তার নিজস্ব উপায় খুঁজে পান, "প্রবন্ধ ‘তাও’ প্রকাশ করার জন্য, বিশ্বের মানুষকে উপকার করার জন্য।"

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn