চীন-সুইজারল্যান্ড সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে চাও ইউয়ান
চাও বলেন, সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনেক সংগীত অনুষ্ঠানে, চীনা সংগীতজ্ঞদের বাজানো ঐতিহ্যবাহী সুইস সংগীত স্থানীয় জনগণের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে। চীনের চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সুইজারল্যান্ডেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় জনগণের চীনা সংস্কৃতির বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া ও ভালোবাসা উন্নত করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব উন্নত করেছে। তিনি বলেন,
“যেমন আমি একবার জেনিভা স্টেট সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করেছিলাম চীনে সুপরিচিত কাজগুলি বাজানোর জন্য, ‘ওয়েলকাম মার্চ’, ‘সিং টু দ্য মাদারল্যান্ড’, ‘অ্যাথলিট মার্চ’ এবং অন্যান্য কাজগুলি সুইস সমাজ এবং ইউরোপীয় সমাজে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এবং দু’দেশের শিল্পীদের সহযোগিতামূলক কনসার্টও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। সেজন্য আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, সাংস্কৃতিক বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা দু’দেশের জনগণের মধ্যে, এমনকি চীনা জনগণ ও ইউরোপীয় জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও মৈত্রী এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, চীনা সভ্যতার প্রচার ও প্রভাব বৃদ্ধি করা, চীনা গল্প বলা, চীনা কণ্ঠস্বর ভালোভাবে ছড়িয়ে দেওয়া এবং চীনের একটি বিশ্বাসযোগ্য, সুন্দর ও সম্মানজনক চিত্র উপস্থাপন করা প্রয়োজন। চাও ইউয়ান বলেন, তিনি গভীরভাবে উত্সাহিত হয়েছেন এবং তিনি সুইজারল্যান্ড ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য আরও অবদান রাখবেন। তিনি বলেন,
“সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের কর্মপ্রতিবেদনে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং বিশেষভাবে চীনা সভ্যতা ও চীনা সংস্কৃতি বাইরে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমরা যারা সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সাংস্কৃতিক কাজে নিয়োজিত তাদের জন্য এটি একটি খুব বড় অনুপ্রেরণা। তাই আগামী পাঁচ বছরে আমি নিজের জন্য খুব স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আমি অবশ্যই সাংস্কৃতিক ‘বহিরে যাওয়ার’ কৌশল কাঠামোর অধীনে, চীন ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে এবং চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা বিদেশে চীনা সংস্কৃতি, বিশেষ করে বিশ্বমানের সংগীত সংস্কৃতি প্রদর্শন ও প্রচারের জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”