সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদন এবং চীনের তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
চীনের কুইচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান ছেন ছাও বহু বছর ধরে স্থানীয় কৃষকদের পশুপালনের মান উন্নতে করতে কাজ করেছেন। তিনি পাহাড়াঞ্চলে পরিবর্তনের স্বাক্ষী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, হাজার বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, আমাদের এ প্রজন্মের যুবকরা মহান বিপ্লব ও সংস্কার দেখেছি এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি সুন্দর কাহিনী আমরা যৌথভাবে রচনা করতে পারবো।
সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে রাজনীতি, অর্থনীতি, মতাদর্শ ও প্রকৃতিসহ বিভিন্ন খাতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে দেশ। এসময় যথাযথভাবে জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় চেষ্টা করে গেছে চীন সরকার। এ সম্পর্কে চীনের কুয়াংতুং চোংশান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী চাং সিয়ান থাও বলেন, এটা শুনে আমরা খুব পুলকিত হয়েছি। কারণ, চীনের মহামারী প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার। এর সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সক হিসেবে আমাদের কাঁধে দায়িত্বও অনেক ভারী আর গুরুত্বপূর্ণ।
সাফল্য অর্জন সহজ ব্যাপার নয়, তাই প্রত্যেকের উচিত বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া। সিপিসি’র সাফল্যের সারাংশ করা হয়েছে এবারের প্রতিবেদনে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ ও রাজনীতি কোর্সের যুব শিক্ষক তুং বিয়াও বলেন, নতুন যুগে চীনের অর্জিত সাফল্য সহজে পাওয়া যায়নি। এ প্রাপ্তির সাথে সঠিক চিন্তাধারার নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় পুনরুত্থানের যাত্রায় আমাদেরকে সবসময় সঠিকভাবে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিবেদনে সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন যে, দেশ ও জাতির উন্নয়নের মূল ভিত্তি, চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে হবে। সেই মন্তব্য চীনা বিজ্ঞানীদের জন্যও বেশ উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার।