বাংলা

প্রাচীন চীনের ব্রোঞ্জ চাইম-বেলস

cmgPublished: 2022-11-04 18:54:46
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এটি হলো বিয়ানচং বাজানো সংগীত মো লি হুয়া বা জেসমিন ফ্লাওয়ার। বিয়ানচং বা চাইমস হলো চীনের প্রাচীন পর্কশন যন্ত্র। এর ৩ সহস্রাধিক বছরের ইতিহাস রয়েছে।

১৯৭৮ সালে চীনের হুপেই-এর একটি প্রাচীন সমাধিতে চেং হৌ ই’র বিয়াংচং আবিষ্কৃত হয়। সমাধিটি চেং হৌ ই-র যিনি যুদ্ধরত রাজ্যের প্রাথমিক সময়কালে ভাসাল রাজ্য চেং রাজ্যের রাজা। তাই, তাঁর নামে চেং হৌ ই বিয়ানচং।

চেং হৌ ই বিয়ানচং সেটে ৬৫টি চাইম আছে, মোট ওজন ২.৫ টন এবং তিন-স্তরযুক্ত র্যাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ পর্যন্ত এটি চীনে আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভারী এবং সবচেয়ে সম্পূর্ণ ছন্দের বিয়ানচং সেট। ২০০ বছর আগের মোজার্ট সময়ের পিয়ানোর সাথে এটি তুলনীয়। এর প্রতিটি বেল দুটি শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। ‘এক বেল, দুই সুর’-এর সত্যিকারের আমেজ পাওয়া যায় এতে।

১৯৯৭ সালে চীনের বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ থান তুন বড় আকারের সিম্ফনি ‘১৯৯৭: স্বর্গ, পৃথিবী এবং মানুষ’ রচনা ও পরিচালনা করেন। তিনি চেং হৌ ই বিয়ানচং থেকে প্রাচীন ধাতু ও পাথরের শব্দ এবং আধুনিক অর্কেস্ট্রা একত্রিত করেন।

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সংগীত ‘মোলিহুয়া’র ক্লাসিক সুরকে তার বাদ্যযন্ত্রের মোটিফ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে চেং হৌ ই বিয়ানচং ও জেড কিমেসের শব্দ মিলে ‘ধাতু ও জেডের হারমোনি’ এবং ‘কর্ডস অফ মেটাল ও জেড’ নামে পরিচিত একটি সুর বাজানো হয়।

হুপেই প্রদেশের যাদুঘরে মূল চেং হৌ ই বিয়ানচং স্থায়ী প্রদর্শনে রয়েছে। অন্যান্য যাদুঘরে কপি আছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn