চীনের ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল দলের সাফল্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
কুয়াংতুং প্রদেশের বিভিন্ন পর্যায় ও সামাজিক সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার চক্র গড়ে উঠেছে। ছোটবেলা থেকে বাচ্চারা বাস্কেটবল খেলতে শুরু করে। বড় হওয়ার পর বাস্কেটবল চর্চা ও প্রশিক্ষণেও তারা সহজে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা সরকারি অফিসও নিয়মিত বাস্কেটবল খেলার আয়োজন করে থাকে। তাই, ভালো বাস্কেটবল খেলতে পারলে এখানে সহজে ভালো চাকরি পাওয়া যায়। কুয়াংতুং প্রদেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ। তিনটি পেশাদার বাস্কেটবল ক্লাব রয়েছে এখানে। বাস্কেটবল খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ আছে এখানে। এক্ষেত্রে চীনের অনেক প্রদেশ ও শহর থেকে এগিয়ে আছে অঞ্চলটি।
কুয়াংতুং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক কুং চিয়ান লিন বলেন, “আমাদের বাস্কেটবল খেলার পরিবেশ চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। আমাদের বিভাগে বাস্কেটবল লীগ প্রতিযোগিতাও আছে। প্রতিবছরের অক্টোবর মাস থেকে নতুন বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এসব প্রতিযোগিতা চলে। তা ছাড়া, তিন জনের বাস্কেটবল খেলাসহ বিভিন্ন টাইপের খেলার প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা হয়। সাধারণত একজন নতুন শিক্ষার্থী প্রথম সেমিস্টারে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেটবল খেলার ক্লাসে অংশ নিতে পারে। সেটিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য। যখন সবাই বাস্কেটবল খেলতে থাকে, তখন স্কুলের ৮০টিরও বেশি খেলার মাঠে সবাই ব্যস্ত। যদিও পেশাদার খেলোয়াড়দের সংখ্যা খুবই কম, তবে সবার খেলাধুলা ও বাস্কেটবলের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই।”
২০২২ সালের সিবিএ নতুন খেলোয়াড়দের নির্বাচন সম্মেলনে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে সিবিএ প্রতিযোগিতায় ওয়াং শাও চিয়েসহ ৬ থেকে ৭ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি মোটামুটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সিবিএ নতুন খেলোয়াড় নির্বাচন সম্মেলনের মাধ্যমে আরো বেশি ক্রীড়াবিদের বাস্কেটবলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যারা বাস্কেটবল খেলতে পছন্দ করেন, তারা সবাই সমান সুযোগ পান। সাধারণত চমত্কার খেলোয়াড়রা মাধ্যমিক স্কুলের সময় বিভিন্ন বাস্কেটবল ক্লাবে ভর্তি হয়ে যান। তবে অনেক খেলোয়াড় কেবল সিবিএ-তে প্রবেশ করার পর নিজেদের দুর্বলতা দেখতে পান। যেমন, খেলোয়াড় ওয়াং শাও চিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল লীগ প্রতিযোগিতায় বারবার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। তবে সিবিএ-তে যোগ দেওয়ার পর তার দক্ষতায় কিছু দুর্বলতা প্রতিফলিত হয়। তাই বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বাস্কেটবল খেলার মাধ্যমে সিবিএ-র জন্য নির্বাচিত হতে পারে, তবে তারা সিবিএ-তে যাওয়ার পর প্রকৃত পেশাদার খেলোয়াড় হতে তাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হয়। কেউ কেউ সিবিএ-তে ঢোকার পর নিজেদের খেলার মান উন্নত করতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদেরকে সেসব সমস্যার সমাধান করতে হয়।