সংগীত সেতু হিসেবে চীন ও জার্মানির সাংস্কৃতিক বিনিময় এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী: চীনা পিয়ানোবাদক লাংলাং
লাং লাং বলেন, “আমি আশা করি প্রতিবার জার্মানিতে পাফর্ম করার সময়, চীনের আর্ট, চীনের সংস্কৃতি প্রচার করতে চাই। আমার মনে হয় জার্মান লোকজন চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে খুবই আগ্রহী। যেমন- ২০০৬ সালে আমি ‘হলুদ নদীর ছেলে’ নামে একটি অ্যালব্যাম রেকর্ড করেছি। এই অ্যালবামে গানগুলো চীনা সংগীত। চীনা বাজারের পাশাপাশি জার্মানির বাজারে গানগুলো বেশ জনপ্রিয়। আমি আবিষ্কার করেছি যে, যখন আমাদের চীনা লোক সংগীত দল এখানে সফর করে, তখন জার্মান সংগীত ভক্তরা তা বেশ পছন্দ করে। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি জার্মান বন্ধু চীনকে জানতে পারবে; তারা সত্যিকার অর্থে আমাদের সংস্কৃতি জানতে ও বুঝতে পারবে।”
চলতি বছর হলো চীন-জার্মানি কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। এজন্য লাং লাং বিশেষভাবে একটি কনসার্ট পরিকল্পনা করেছেন এবং এই কনসার্টে চীন ও জার্মানির সংগীত পরিবেশন করা হবে। যাতে আরও বেশি বিদেশি চীনা সংগীতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে এবং সংগীতকে একটি সেতু হিসেবে, দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রচার করে। তিনি বলেন,
“একজন চীনা পিয়ানোবাদক হিসেবে, আমিও আশা করি আমাদের আর্ট এবং জার্মানির আর্টের মধ্যে বিনিময়ের সুযোগ হবে। আমি আশা করি আরও চীনা সংগীতশিল্পী জার্মানিতে পার্ফম করবেন এবং আরও জার্মান সংগীতশিল্পীও চীনে পার্ফম করতে পারবেন। এইভাবে আমাদের সাংস্কৃতিক সেতু ভালভাবে গড়ে উঠতে পারবে এবং চীন-জার্মানি মৈত্রী দীর্ঘ হোক।”