বাংলা

সি চিন পিংয়ের সাংস্কৃতিক অনুভূতি। "তোমরা সূচিকর্ম করছো, কত সুন্দর!"

CMGPublished: 2022-07-31 18:46:34
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

লাল, সবুজ, নীল...দ্রুত সেলাই করে রঙিন সূচিকর্ম করা হচ্ছে এবং সূচিকর্মের পদ্ধতিগুলি পরিবর্তনশীল। সূচিকর্মের প্যাটার্নে ড্রাগন ও ফিনিক্স, মাছ ও পাখি ইত্যাদি দেখা যায়। সূচিকর্মের বিষয়বস্তুও সমৃদ্ধ। এটা হলো মিয়াও জাতির সূচিকর্ম, মিয়াও জাতির দীর্ঘস্থায়ী হস্তশিল্পের দক্ষতা থেকে এসেছে। জাতীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী জাতীয় সংস্কৃতি ও শিল্পের প্রথম দফায় মিয়াও সূচিকর্ম এখন পাহাড় থেকে বাইরের বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, কুইচৌ পরিদর্শন ও গবেষণার সময়, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ছিয়েনসি জেলা (বর্তমান ছিয়েনসি শহর)-এর সিনরেন মিয়াও গ্রামে আসেন, সূক্ষ্ম ঐতিহ্যবাহী মিয়াও পোশাক সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল: "এটি কি হাতে তৈরি? দাম কত? বিক্রি কেমন?"

"এখানে মেশিন এমব্রয়ডারি এবং হাতে তৈরি সূচিকর্ম রয়েছে। মেশিনে এমব্রয়ডারি করা কাপড়ের একটি সেটের দাম এক হাজার ইউয়ানের বেশি। হাতে সূচিকর্ম করা জামাকাপড়ের একটি সেট ১৮ হাজার ইউয়ানে বিক্রি করা যেতে পারে। শুধু মিয়াও জাতির লোকজন কিনবেন এবং পরবেন না, অনেক পর্যটকও পছন্দ করে ও কিনে।" গ্রামের মিয়াও এমব্রয়ডারির অবৈষয়িক উত্তরাধিকারী ফেং ই সাধারণ সম্পাদককে তা পরিচয় করিয়ে দেন।

“মিয়াও সূচিকর্ম ঐতিহ্যবাহী ও ফ্যাশনেবল। আপনারা একের পর এক থ্রেড সেলাই ও সূচিকর্ম করেন, তা কতই-না চমৎকার!" সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং সবাইকে মিয়াও সূচিকর্ম এগিয়ে নিতে উত্সাহ দেন। সেই সঙ্গে এই শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অবদান রাখতে পারে। সাধারণ সম্পাদক সি মিয়াও সূচিকর্মের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যিক দক্ষতার ওপর মনোযোগ দেন। তিনি সংখ্যালঘু সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরেন।

২০২১ সাল থেকে, কুইচৌতে বিভিন্ন ধরণের ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মিয়াও সূচিকর্ম শিল্প বিকাশের জন্য একটি নেতৃস্থানীয় দল প্রতিষ্ঠা করেছে, মিয়াও সূচিকর্মের শিল্পায়ন, ফ্যাশন, আন্তর্জাতিকীকরণ ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করা হয়, স্থানীয় জাতিগত সংস্কৃতির উত্তরাধিকারীরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং বৈশিষ্ট্যময় জাতিগত হস্তশিল্পকে জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। প্রাচীন মিয়াও সূচিকর্ম এখন জীবনীশক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

২০২১ সালে, মিয়াও সূচিকর্ম শাংহাই ফ্যাশন সপ্তাহে হাজির হয়। এখন, ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন স্টোরের মাধ্যমে, আরও বেশি মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে মিয়াও সংস্কৃতির এই চমত্কার শিল্পটির প্রশংসা করছে এবং এর ব্যবহার করছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn