অর্ধেক জীবন চীনে থাকা ইতালীয় চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বকে জানাতে চায়
কয়েকশ’ বছর আগে, ইতালির পর্যটক মার্কো পোলো গোটা চীন ভ্রমণ করেছিলেন। এরপর ‘মার্কো পোলোর ভ্রমণ রেকর্ড’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়, যা সারা ইউরোপে রহস্যময় পূর্বের দরজা খুলে দেয়। কয়েকশ’ বছর পর, অন্য একজন ইতালীয় গ্যাব্রিয়েলা বনিনো ইতালি ভাষায় বই লিখে তার নিজের দেশে চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন। আজ আমরা ইতালীয় গ্যাব্রিয়েলা বনিনোর কাছ থেকে তার চীনের অভিজ্ঞতার নানা গল্প শুনব।
গ্যাব্রিয়েলা বনিনোর, একটি চীনা নাম আছে—থাং ইয়ুন। তিনি ইতালির তুরিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ও চীনের গল্পগুলো ৩০ বছর স্থায়ী। যখন তিনি ১৮ বছর বয়সী ছিলেন তিনি প্যারিসের গুইমেট যাদুঘর পরিদর্শন করেন, তখন চমত্কার চীনা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাকে আকর্ষণ করে। তখনই তার হৃদয়ে চীনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। ১৯৮৭ সালে থাং ইয়ুন চীনে আসেন। তিনি তত্কালীন বেইজিং ভাষা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। স্নাতক পাসের পর একটি চীনা মিডিয়া কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। থাং ইয়ুন বলেন,
“আমি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি এবং আমার শো- চায়না নিউজ পুরস্কারের প্রথম পুরস্কার জয় করে। আমার কাজের অভিজ্ঞতা চীনকে বোঝার জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।”
মিডিয়াতে কাজ করার সময় থাং ইয়ুন চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের ওয়েনচৌ শহরে এক ডজনেরও বেশি শো তৈরি করেন এবং তা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। ২০১৭ সালে থাং ইয়ুন ওয়েনচৌ বিজনেস স্কুল অফ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনে শিক্ষক হিসেবে পড়তে আসেন। ওয়েনচৌ একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহর। ওয়েনচৌতে তার কাজ করার সময়, তিনি তার ‘আবিষ্কার ওয়েনচৌ’ বই লেখার কারণে ‘ওয়েনচৌয়ের সম্মানিত নাগরিক’ উপাধিতে ভূষিত হন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে থাংইয়ুন ওয়েনচৌন শহরের রুই আন জেলায় আসেন। তিনি চীন-ইতালি মানবসম্পদ শিল্প পার্কের সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ পান। এইভাবে তার রুই আন যাত্রা শুরু হয়। তিনি বলেন, “রুই আন একটি সাংস্কৃতিক ও খুব প্রাচীন শহর। ইয়ংজিয়া স্কুলের ছেন ফুলিয়াং এবং ইয়ে শি রুই আন শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানে ইয়ু হাই লৌ লাইব্রেরি, লিজি হাসপাতাল, সিনলান সোসাইটি ইত্যাদি রয়েছে। তখন সেখানে একদল অত্যন্ত জ্ঞানী, অত্যন্ত উন্নত শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাও ছিলেন।”