হংকংয়ে বসবাসরত ফরাসি প্যান ইয়াদ: আমি আশা করি আমার গ্যালারি চীন ও বিদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সেতু হবে
“যখন লোকেরা গ্যালারিতে যায় এবং ‘ওয়াও’ বলে, সেটাই আমার জন্য সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত। আমি শুধু পেইন্টিং বিক্রি করতে চাই না, আমি ‘প্রায়’ হতে চাই না, কিন্তু আমি সেরা হতে চাই এবং হংকংয়ে সেরা শিল্প আনতে চাই। কারণ হংকংয়ে সত্যিই শ্রেষ্ঠ মানের শিল্পকলা থাকা উচিত। আমি এই অঞ্চলের সংগ্রাহকদের সাহায্য করতে চাই, যাতে তারা সেরা শিল্পী এবং সেরা কাজ খুঁজে পায়।”
প্যান ইয়াদ শিল্পের পরিপূর্ণতা অনুসরণ করেন এবং তিনি হংকংয়ের বর্তমান শৈল্পিক প্রাকৃতিক পরিবেশের খুব উচ্চ মূল্যায়ন করেন। বিশেষ করে হংকং রাজপ্রাসাদ যাদুঘরের প্রদর্শনী তাকে প্রত্যাশায় পূর্ণ করে তুলেছে। তিনি বলেন,
“হংকং রাজপ্রাসাদ যাদুঘর সত্যিই সুন্দর এবং আমি খুব গর্বিত। কারণ, এবার যে শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শিত হচ্ছে তা শুধু বেইজিং রাজপ্রাসাদ যাদুঘর থেকে নয়, ফ্রান্সের ল্যুভ থেকেও এসেছে। আমি মনে করি- সেসব সত্যিই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ যাদুঘর।”
হংকংয়ে ১২ বছর ধরে বসবাস- ইয়াদকে খুব কাছে থেকে এই শহরকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দিয়েছে। অনেক মানুষ হংকংয়ের আকর্ষণ বর্ণনা করতে বৈচিত্র্য, সহনশীলতা এবং প্রাণশক্তির মত শব্দ ব্যবহার করে। প্যান ইয়াদের জন্য, হংকংয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ‘স্থিতিস্থাপকতা’। তিনি বলেন,
“আমি মনে করি, তারা ঠিক বলেছে, কিন্তু তারা হংকংয়ের স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে খুব কম জানে। আমার জন্য হংকংয়ের সৌন্দর্য হলো তার স্থিতিস্থাপকতা। বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তন হোক না কেন, হংকং সর্বদা উদ্ভাবন ও নতুন সুযোগ আবিষ্কার করতে পারে। আমিও এর অংশ হতে পেরে খুব খুশি।”
প্যান ইয়াদ হংকংয়ের উন্নয়নে অংশীদার হতে চান এবং তিনি সত্যিই তা করেছেন। তার গ্যালারি চীনের মূল ভূখণ্ডের যাদুঘর এবং স্কুলগুলির সাথে যোগাযোগ করছে এবং মহামারী ধীরে ধীরে কেটে যাবার পরে গ্যালারি এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন,