চীনের তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত দ্রুত উন্নয়নের পথে সামনে এগিয়েছে। মহাশূন্যে নভোচারীদের কাপড়চোপড়, চিয়াওলং সাবমার্সিবল তার, পেইতৌ নেভিগেশন ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম উপগ্রহের কাঁচামালসহ অনেককিছুই আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাদের সাফল্য চীনের প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, স্থাপত্য প্রকল্প ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে অর্জিত এসব সাফল্য তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণালয়ের অবদান। আজকের আসরে আমরা চীনের তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কিছু তথ্য তুলে ধরবো এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রকল্প একাডেমির শিক্ষাবিদ ইয়ু চিয়ান ইয়োংয়ের বক্তব্যও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত ৭১ বছরের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের টেক্সটাইল শিল্প ও অন্যান্য বিভাগের জন্য মোট ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি সেরা ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে টেক্সটাইল, কাঁচামাল, ডিজাইনসহ বহুমুখী খাতের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
চীনের সেরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পাশ্চাত্য দেশগুলো কর্তৃক সৃষ্ট প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করার উদ্দেশ্যে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক প্রজন্মের শিক্ষাবিদদের প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে এবং চীনের সমৃদ্ধি, জাতীয় পুনরুত্থান ও জনগণের সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণে বিরাট অবদানও রেখেছে।
তো, এই বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং নতুন ধাপে উন্নীত হতে পারে? এ সম্পর্কে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়ু চিয়ান ইয়োং বলেন, ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের টেক্সটাইল খাতের শিক্ষা ও গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম টেক্সটাইলবিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল কাঁচামাল ও কাপড়চোপড় ডিজাইন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ মেজর। ১৯৮১ সালে টেক্সটাইল ও প্রকৌশল বিভাগ ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে এবং ২০১৭ সালে এই বিষয়টি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মেজর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।