একজন তরুণ শিল্পী যিনি বিড়ালের পেইন্টিং দিয়ে যোগাযোগের সেতু নির্মাণ করেছেন-China Radio International
সম্প্রতি তুরস্কের আনাদোলু নিউজ এজেন্সি তরুণ চীনা শিল্পী লেই চুয়ান ই’র গল্প তুলে ধরেছে। তিনি চিত্রকলা ও শিল্পের বৈশিষ্ট্য একীভূত করতে শিল্পকে বাহক হিসাবে ব্যবহার করেছেন এবং দুই দেশের জনগণের গল্প প্রচার করেছেন। সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপের সংবাদদাতার এক সাক্ষাত্কারে লেই চুয়ান ই ইস্তাম্বুলের ‘বিড়াল শহরের’ মাধ্যমে তাঁর সৃজনশীল মন ও যাত্রার কথা বলেছেন।
ছোটবেলা থেকেই লেই চুয়ান ই তার বাবার মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ধীরে ধীরে চিত্রশিল্পের পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে তিনি আরও পড়াশোনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান। আনাদোলু নিউজ এজেন্সি কেন একজন তরুণ চীনা চিত্রশিল্পীর দিকে মনোযোগ দিলো? কারণ, ইস্তাম্বুল ‘বিড়ালের শহর’ হিসেবে পরিচিত। লেই ছুয়ান ই ইস্তাম্বুলে বিড়ালের ছবি আঁকার জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। বিড়ালের ছবি আঁকার মাধ্যমেই তিনি অনেক মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। লেই চুয়ান ই বলেন, তিনি আসলে ইস্তাম্বুল আসার আগে বিড়ালের ছবি আঁকার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে, এখানে আসার পর তিনি দেখতে পান যে, স্থানীয়রা বিড়াল বেশ পছন্দ করে। এমনকি প্রিয় ‘নেট সেলিব্রিটি বিড়াল’ স্মরণে একটি মূর্তিও তৈরি করেছে। ধীরে ধীরে স্থানীয়দের বিড়াল ও ছোট এই প্রাণীর প্রতি স্নেহের সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হয়ে লেই চুয়ান ই বিড়ালের প্রেমে পড়ে যান এবং বিড়াল লালনপালন শুরু করেন।
এক সময় বিড়াল তার ছবির ব্রাশের অন্যতম ‘হিরো’ হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আসার পরে, ‘বিড়াল সিটির’ কারণে আমি সত্যিই বিড়ালগুলো পছন্দ করেছি এবং আমি নিজেই বিড়াল লালন-পালন শুরু করি। বিড়ালরা তুর্কদের অনুভূতি প্রতিফলিত করতে পারে। আমার মনে হয় পেইন্টিংয়ের বিড়ালগুলো এটি প্রতিফলিত করতে পারে। হতে পারে, ছবিগুলো দিয়ে বিড়ালের মাধ্যমে আমার অনুভূতি প্রকাশ পায়।