চীনের কুইচৌ প্রদেশের লিউপানশুই শহরের তাওয়ান জেলার হাইকা গ্রামের এক প্রাথমিক স্কুলের মজার ও আকর্ষণীয় গল্প-China Radio International
গত ২০ বছর ধরে হাইকা প্রাথমিক স্কুলে কোনো সিনিয়র শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল না। পড়াশোনা করতে চাইলে জেলার স্কুলে যেতে হয়। অনেক শিক্ষকও এখান থেকে চলে যান। ২০১৪ সালে স্কুলে মাত্র ১ জন শিক্ষক ও ৮ জন শিক্ষার্থী বাকি ছিল। তিনি অন্যান্য জায়গা থেকে নতুন শিক্ষক সংগ্রহের চেষ্টা চালান। ২০১৬ সালে শিক্ষক কু ইয়া প্রেসিডেন্ট চেংয়ের উত্সাহে ৪ জন শিক্ষকের সাথে হাইকা প্রাথমিক স্কুলে আসার আবেদন করেন। স্কুলের জন্য ছাত্রছাত্রী খুঁজে পেতে প্রেসিডেন্ট চেং প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ঘুরতে থাকেন। স্কুলে আসার উপযোগী বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তখন কোনো কোনো বাচ্চার বাবা-মা কৌতুক করে বলেন: ‘যদি স্কুলে ফিরে যেতে হয়, তাহলে আমার বাচ্চাকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তে হবে।’ স্থানীয় ই জাতির বাচ্চারা ম্যান্ডারিন ভাষায় দুর্বল। তাই স্কুলের ক্লাস শেষে শিক্ষকরা অতিরিক্ত সময় বাচ্চাদের হান ভাষা শেখান। হোমওয়ার্ক শেষ করে রাত ১০টির দিকে তারা বাচ্চাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
শুরুর দিকে গ্রামের বাচ্চাদের মধ্যে অর্ধেকের বাড়িতে বাবা-মা ছিল না। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে নিজের জন্য রান্না করতে হতো বাচ্চাদের। পরে শিক্ষক চেং ও কু বাচ্চাদের জন্য রান্না করা শুরু করেন। স্কুল থেকে বাচ্চাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও সাথে করে নিয়ে যেতেন।
বাচ্চাদের সুন্দর প্রদশর্নীর জন্য সুন্দর কাপড়চোপড়ও লাগে। মেয়ে লি মেই ইনের শহরে গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় শিক্ষক কু ইয়া ২০০ ইউয়ানেরও বেশি দামী সাদা স্কার্ট তাকে কিনে দেন। অনলাইনে শিক্ষক কু’র ভিডিও পোস্ট আগে বেশি জনপ্রিয় হয়নি, প্রতিদিন মাত্র ২০ থেকে ৩০টি লাইক পেতো। তবে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালে ভিডিও হঠাত্ ব্যাপক জনপ্রিয় ও সুপরিচিত হয়ে ওঠে। চীনের অনেক পেশাদার সংগীত মহলের ব্যক্তিও তাদের গানের প্রশংসা করেছেন।