বাংলা

চীনের কুইচৌ প্রদেশের লিউপানশুই শহরের তাওয়ান জেলার হাইকা গ্রামের এক প্রাথমিক স্কুলের মজার ও আকর্ষণীয় গল্প-China Radio International

criPublished: 2021-01-04 18:28:05
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

তারপর থেকে স্কুলের শিক্ষক কু অন্যান্য জায়গা থেকে কয়েক ধরনের বাদ্যযন্ত্র খুঁজে নেন। বর্তমানে স্কুলে গিটার, টাম্বুরাইন ও বেথসহ মোট ২০০টির বেশি বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সহজ বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা বেথ, টাম্বুরাইন ও ড্রাম কিট শিখতে পারে। লাঞ্চের পরে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সুখী সময়।

যদিও ছাত্রছাত্রীদের বাদ্যযন্ত্র শেখার আগ্রহ বেশি, তবে পেশাগত সংগীতজ্ঞান একটু দুর্বল। তাই প্রতিবারের রিহার্সাল সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ সম্পর্কে শিক্ষক কু বলেন, বাচ্চারা বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পছন্দ করে। পরে একটি সংগীতদল গঠনের চেষ্টা করেন তিনি। প্রথমবার সংগীতদলের সদস্য বাছাই করার সময় কেউ জানত না সংগীতদল মানে কী? পরে শিক্ষক কু ৫ জন সদস্যের সংগীতদল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। একজন গায়ক, একজন বেসিস্ট, দু’জন গিটারিস্ট এবং একজন ড্রামার। সংগীত বাজানোর পদ্ধতি ও প্রদর্শিত ভঙ্গি সবই শিক্ষকের নির্দেশনায় করে তারা।

হাইকা প্রাথমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট জনাব চেং লুং গ্রামের শিক্ষাদানে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। কারিগরি স্কুল থেকে গণিত মেজর নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর তিনি অন্যান্য মেজরেও পড়াশোনা করেন। এর আগে গ্রামের স্কুলে সংগীত ক্লাসও চালু হয়েছে। তবে শিক্ষক সংগীততত্ত্ব ঠিক জানেন না, তাই ধীরে ধীরে সংগীত ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষক কু আসার পর তিনি সংগীতের সুর সহজভাবে শেখানোর পদ্ধতি বের করেন। পরে তিনটি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ক্লাস শুরু করেন। প্রতি ১০ মিনিটে এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পদ্ধতি সবাইকে বুঝিয়ে দেন। এভাবে স্কুলের সংগীতদল গত দুই বছরের মধ্যে মোট ৪টি গান শিখতে পেরেছে। ৫ জন মেয়ে নিয়ে গঠিত সংগীতদলের নাম ‘ইয়ু’, যার অর্থ হল পরস্পরের সাথে পরিচিত হওয়া। ৫ জনের কোনো পেশাদার প্রশিক্ষণ নেই। শূন্য থেকে সংগীতের সুর শিখতে হয় তাদের। প্রত্যেকের জন্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো নতুন ব্যাপার। মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনেকে ভয় পায়। সে জন্য শুরুর দিকে শিক্ষক কু তাদের পারফরমেন্স নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। পরে মেয়েরা আরো পরিশ্রম করতে শুরু করে ও মনোযোগ দিয়ে গান গাওয়া ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চেষ্টা করতে থাকে। ধীরে ধীরে গানের সুরের সাথে নৃত্য করা শেখে তারা। তখন শিক্ষক কু তাদের অনুষ্ঠান রেকর্ড করে ওয়েবসাইটে আপলোড করেন। এভাবে মেয়েদের সংগীতদলের অনুষ্ঠান ধারাবাহিকবাবে চলতে থাকে। প্রতিবছর দু’তিন বারের মতো জেলা বা শিক্ষা বিভাগের পার্টিতে গান গায় তারা। মেয়ে লুও লি সিন এবং লুও ছুন মেইয়ের বাবা গ্রামে কৃষিকাজ করেন। তিনি কয়েকবার মেয়েদের অনুষ্ঠান দেখেছেন এবং খুবই পছন্দ করেছেন। যদিও সংগীত তিনি বোঝেন না, তবে তিনি পাহাড়ের লোকসংগীত গাইতে পারেন। মেয়েকে বাদ্যযন্ত্র শেখায় কোনো বাধা দেননি তিনি এবং মাঝে মাঝে তিনি অনলাইনে তাদের ভিডিও উপভোগ করেন। তবে যাদের পিতামাতা শহর বা জেলায় চাকরি করেন, তারা বাচ্চাদের অনুষ্ঠান কখনো দেখেননি।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn