চীন ও চিলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশতম বার্ষিকী: "চীনা কিংবদন্তি ও গল্প" স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণ অনুষ্ঠান-China Radio International
চীন ও চিলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর স্মরণে, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ইউরোপীয় ও লাতিন আমেরিকান আঞ্চলিক ভাষা প্রোগ্রাম কেন্দ্র এবং চিলিয়ান সিম্প্রেমেন্ট প্রকাশনা হাউস যৌথভাবে প্রকাশিত "চীনা কিংবদন্তি ও গল্প" বইয়ের স্প্যানিশ সংস্করণ সম্প্রতি চিলির সান্তিয়াগোতে প্রকাশিত হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনে বইটির বিনিময়ের অনুষ্ঠান হয়। চীনে প্রাক্তন চিলির রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো রেয়েস মাতা সভায় বলেন, "চীনা কিংবদন্তি ও গল্প" পাঠকদের চীন সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি চিলি ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশতম বার্ষিকীর সাথে মিলে যায়। এ বইটি আমার হাতে এসেছিল। সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে আমরা একে অপরের শিকড় খুঁজে পাই, একে অপরের পরিচয় উপলব্ধি করতে পারি এবং একটি জাতির রূপকথার গল্প, কিংবদন্তি ও কল্পনা বুঝতে পারি। চীন-চিলির সম্পর্কের উন্নয়ন প্রচারের জন্য দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রচার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।”
চিলিয়ান লিটারারি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডিয়েগো মুয়াজ তার বক্তব্যে দু'দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বিনিময়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, চিলির অনেক লেখক ১৯৬০ এর দশকে চীনে এসেছিলেন, সেখানে বসবাস শুরু করেন এবং চীনা সংস্কৃতি শিখা ও প্রচারে তারা কাজ করেছেন। তারা দু’দেশের সম্পর্ক প্রচারে শক্তিশালী সেতু তৈরি করেছেন। চীন ও চিলির সংস্কৃতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, যা সংস্কৃতি-সহ দুই দেশের মধ্যে আরও বিস্তৃত, সমৃদ্ধ ও আরও বৈচিত্র্যময় সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
চিলির লেখক নিকোলাস লিবিডানস্কি বলেন যে, "চীনা কিংবদন্তি ও গল্প" অত্যন্ত সৃজনশীল কাজ। এটি কেবল চীনা সংস্কৃতির মূল্যবোধই প্রদর্শন করে না, এটি অত্যন্ত কাব্যিক ভাবধারা প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছিলেন যে, সংস্কৃতির কোনও বয়সের সীমানা নেই এবং এ বইটি একটি ভালো উদাহরণ। এ বইয়ের শ্রোতারা অনেক বড়, কারণ এটি বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা দেয়, যে কেউ এ বইয়ে তাদের আগ্রহ খুঁজে পেতে পারে, "যেহেতু এটি বেশ সহায়ক বিষয়, তাই মানুষ চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে চায়।"