উন্মুক্ত শেনজেন চীন ও তুরস্কের মানুষের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত ভালবাসার সাক্ষী-China Radio International
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে বিগত চল্লিশ বছরে শেনজেন একটি ছোট শহর থেকে একটি আন্তর্জাতিক শহরে উন্নীত হয়েছে। এটি প্রাচ্যের "অর্থনৈতিক অলৌকিক ঘটনা"। শেনজেনের সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ ও শেনজেনের উন্মুক্তকরণ। উন্মুক্ত শেনজেন অগণিত আন্তর্জাতিক প্রেমের প্রস্ফুটন প্রত্যক্ষ করেছে। তুরস্কের মোস্তফা ও চীনের উহানের মেয়ে লি ইয়েন তাদের মধ্যে অন্যতম। লি ইয়ান উহানে জন্মগ্রহণ করেছে ও বেড়ে উঠেছে। ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করার পরে, তিনি তার পরিবার ত্যাগ করে একা একা শেনজেনে চলে আসেন। এখানেই তিনি তুরস্কের মোস্তফার দেখা পান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর ৩ মোস্তফা প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে- অর্থাত্ শেনজেনে পা রাখেন। যে দুটি মানুষ এর আগে কখনও কাউকে দেখেনি, তাদের উন্মুক্ত শহর শেনজেনে দেখা হয়। তারা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়, তাদের হৃদয় ধীরে ধীরে একসাথে ঝুঁকে পড়ে। ভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য থাকলেও তারা ভালোবাসার শক্তিতে সব জয় করতে পারে।
মোস্তফা বলেন, শেনজেন একটি আন্তর্জাতিক মহানগর। এখানে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় মানুষ আছে। আমি বিভিন্ন সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসেছি। আমি বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে শিখতে পছন্দ করি। শেনজেনে আসার এটি একটি কারণ এবং এটি আমার দিগন্তকে আরও প্রশস্ত করেছে।
নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়ার মহামারীর কারণে, বর্তমানে তুরস্কে থাকা লি ইয়েন ও মুস্তফা সাময়িকভাবে শেনজেনে ফিরতে পারছেন না। তবে শেনজেন তাদের “দ্বিতীয় জন্মস্থান”।
মোস্তফা বলেন, আমি মনে করি আগামী ১০ বছরে শেনজেন বিশ্বের সেরা পাঁচটি শহরের মধ্যে একটিতে পরিণত হবে।
'বিশ্ব শহর দিবস-২০২০' এর কার্যক্রম চীনের ফুচৌ শহরে অনুষ্ঠিত
৩১ অক্টোবর ছিল বিশ্ব শহর দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে চীনের ফুচৌ শহরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চীনের গৃহায়ন ও গ্রাম-শহর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, ফুচিয়ান প্রাদেশিক সরকার ও জাতিসংঘের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রাম যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সিনহুয়া বার্তাসংস্থা এ খবর দিয়েছে।
এ দিবসে চীন, রাশিয়া, ও জামার্নিসহ বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তা, পণ্ডিত ও কমিউনিটির প্রতিনিধিরা শহরের উচ্চ গুনগতমান উন্নয়ন ও বাসস্থানের পরিবেশ উন্নত করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
চীনের গৃহায়ন ও গ্রাম-শহর উন্নয়ন উপমন্ত্রী জনাব চিয়াং ওয়ান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শহর ও গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় চীন। পাশাপাশি, অন্যান্য দেশের সঙ্গে কমিউনিটি ও শহরের উচ্চ গুনগতমান উন্নত করা ও উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করা, শহরায়ন প্রক্রিয়ার নানা সমস্যা মোকাবিলা করা এবং আরো সুন্দর শহর নির্মাণ করবে চীন।