বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকায় সহায়তা ও বিনিয়োগের আসল কারণ: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-10-16 17:56:57
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অক্টোবর ১৬: সম্প্রতি হারিকেনের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানি ও অ্যাঙ্গোলা সফর স্থগিত করার ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। এর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় আগে বাইডেন্টের অ্যাঙ্গোলা সফরের কথা ছিল। তবে, বিভিন্ন কারণে তিনি সফরে যাননি। বর্তমানে তাঁর মেয়াদের বাকি তিন মাসেরও কম; মার্কিন নির্বাচন আসন্ন। তিনি আফ্রিকায় যেতে পারেন কি না, বলা মুশকিল।

গত অর্ধেক শতাব্দীতে বিশ্বের পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আফ্রিকার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব গুরুত্ব দেওয়ার, উপেক্ষা করার, এবং তারপরে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মেইল ও গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন আফ্রিকান গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন এজিওএ ব্যবস্থা আফ্রিকার পোষাক ও টেক্সটাইল শিল্পসহ বেশিরভাগ শিল্পের উন্নয়নে কম অবদান রেখেছে। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আফ্রিকান তেল, গ্যাস ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ আমদানি, এবং আফ্রিকায় রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র এজিওএ’র প্রদত্ত ‘অগ্রাধিকারমূলক আচরণ’-এর সাথে অনেক রাজনৈতিক শর্ত সংযুক্ত করেছে। যেমন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র এজিওএ থেকে ইথিওপিয়াকে সরিয়ে দিয়েছে। দেশটির টেক্সটাইল শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এতে, যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক তাদের চাকরি হারান। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র নাইজার, গ্যাবন, উগান্ডা এবং মধ্য-আফ্রিকাকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এজিওএ-র সুবিধাভোগী দেশের তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়।

আফ্রিকাকে বিশাল পরিমাণ সাহায্য বা উচ্চ-প্রোফাইল বিনিয়োগ—যাই হোক না কেন, বেশিরভাগই আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থেই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা ও বিনিয়োগের অজুহাতে আফ্রিকায় প্রভাব বজায় রাখার প্রয়াসে আধিপত্য ও গুন্ডামিতে জড়িত। এ ধরণের আচরণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আফ্রিকান দেশগুলোর আস্থা ক্রমশ কমবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn