লাই ছিং তে-র উস্কানি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর: সিএমজি সম্পাদকীয়
অক্টোবর ১৩: চীনের তাইওয়ানের আঞ্চলিক নেতা লাই ছিং তে সম্প্রতি আবারও তথাকথিত ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ টার্মটি ব্যবহার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সমাজের ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলার সাধারণ পটভূমিতে, লাই আবারও স্রোতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অশুভ প্রয়াস।
তবে, লাই-এর অদ্ভুত কথাবার্তা বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যকে পরিবর্তন করতে পারে না। আর এ সত্য হচ্ছে, তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিক এক চীনের এবং তাইওয়ান চীনের অংশ। ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত ‘কায়রো ঘোষণা’ ও ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত ‘পটসডাম ঘোষণা’-য় জাপান কর্তৃক দখলকৃত চীনা ভূখণ্ড তাইওয়ান চীনকে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিগত অর্ধেক শতাব্দী ধরে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা ২৭৫৮ নম্বর ধারায় নির্ধারিত ‘এক-চীননীতি’ মেনে এসেছে। এ নীতির ভিত্তিতে চীন ১৮৩টি দেশের সাতে কূটনৈতিক সম্পর্কও গড়ে তুলেছে। এতে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, ‘এক-চীননীতি’ হলো আন্তর্জাতিক সমাজের স্বীকৃত সাধারণ নীতি। সেজন্য, সিচিন পার্টির চীনকে বিচ্ছিন্নতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
গত সেপ্টেম্বরে মূল ভূখণ্ড দু’তীরের ইসিএফএ শুল্ক হ্রাস প্রকল্পের তৃতীয় দফা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে এবং তাইওয়ান অঞ্চলের ৩৪টি কৃষিপণ্যের ওপর শূন্য-শুল্ক নীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তাইওয়ানের উন্নয়ন-প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাইওয়ানের আঞ্চলিক গণমাধ্যমগুলো সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনজরিপের বরাত দিয়ে জানায়, নিজের পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে লাই’র প্রতি জনতার আস্থা রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে।
তাইওয়ানের ভবিষ্যত নির্ভর করে জাতীয় পুনর্মিলনের ওপর এবং তাইওয়ানের স্বদেশীদের কল্যাণ নির্ভর করে জাতীয় পুনর্জীবনের ওপর। চীন অবশ্যই সম্পূর্ণ ঐক্য অর্জন করবে। এটি একটি ঐতিহাসিক প্রবণতা, যা কেউ বা কোনো শক্তি থামাতে পারবে না।