বাংলা

চীনকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ প্রসঙ্গ: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-09-22 16:06:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সেপ্টেম্বর ২২: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ একটি আইন পাস করেছে। এতে বলা হয়েছে, তথাকথিত ‘চীনের ক্ষতিকর প্রভাব’ মোকাবিলার জন্য ২০২৩ থেকে ২০২৭ অর্থবছর পর্যন্ত, প্রতিবছর সাড়ে ৩২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে; মোট বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৬০ কোটি ডলার। জনমতকে নিয়ন্ত্রণ করা ও চীনকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় করার এই সর্বশেষ পদক্ষেপটি নিশ্চিত করে যে, যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা তথ্যের আসল প্রচারক। এ ধরনের তত্পরতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক জনমতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

মার্কিন আইনটিতে দু’টি সুপরিচিত মাধ্যমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে: গ্লোবাল এনগেইজমেন্ট সেন্টার (জিইসি) এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ইউএসএআইডি)।

জিইসি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং একে চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধের সমন্বয়কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর, ইউএসএআইডি হলো বিদেশে ‘গণতান্ত্রিক অনুপ্রবেশ’ চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।

এর আগে ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে জিইসি-কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন সরকারের হস্তক্ষেপের প্রধান দোসর বলে অভিযুক্ত করেন।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মার্কিন কংগ্রেস হোয়াইট হাউসের মতোই চীনের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে মেতে উঠছে। বর্তমান মার্কিন সমাজে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুটি দলই তথাকথিত ‘চীনা হুমকি’-র কথা বলছে মূলত ভোট জেতার জন্য। চীনের বিরুদ্ধে তারা কথা বলছেন মূলত মার্কিন সমাজের নানান অসঙ্গতি ও সমস্যা থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে।

তবে, চীনকে গালি দিয়ে বা দমন করার অপচেষ্টা করে, যুক্তরাষ্ট্র নিজের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে না এবং চীনের উন্নয়ন-প্রক্রিয়াকেও থামাতে পারবে না। এটি বরং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি হবে। বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও এ ধরনের আচরণ হুমকিস্বরূপ।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn