সংবাদ পর্যালোচনা চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতার ২৫ বছর
এরই মাঝে একজন মার্কিন ‘কূটনীতিক’ এই মর্মে মন্তব্য করেছেন যে, তিন দেশের নেতাদের এই বৈঠক স্বীকৃতি পাবার যোগ্য। বহির্বিশ্ব বিশ্বাস করে যে, বৈঠকে অর্জিত ফলাফল তিনটি দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন সূচনা।
প্রশ্ন হচ্ছে: একটি নতুন সূচনাবিন্দুতে দাঁড়িয়ে, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া কীভাবে সহযোগিতার ‘গিয়ার পরিবর্তন ও গতি বাড়াতে পারে’? চীনা প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বৈঠকে এই লক্ষ্যে পাঁচ-দফা পরামর্শ দিয়েছেন। এই পাঁচ-দফা পরামর্শ হচ্ছে: সহযোগিতার এই পুনঃসূচনাকে কাজে লাগাতে হবে; তিন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ আরও গভীর করতে হবে; বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে; মানুষে মানুষে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বন্ধন দৃঢ়তর করতে হবে; এবং টেকসই উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে যেতে হবে।
চীনা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে, এই বৈঠক তিন দেশের জন্য স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার ধারা বজায় রাখার একটি নতুন সূচনা হবে। এতে বোঝা যায়, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অনেক অভিন্ন স্বার্থ এবং সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে; তারা ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন উন্নয়ন অর্জন করতে পারে।
ত্রিপক্ষীয় যৌথ বিবৃতিতে এই মর্মে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, জনস্বাস্থ্য, এবং দুর্যোগ ও ত্রাণের মতো ছয়টি প্রধান ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা হবে। জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সির বিশ্লেষণ অনুসারে, এটি আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনটি দেশের সংকল্পকে প্রতিফলিত করেছে।