চীনা বাজার কেন তাদেরকে আকর্ষণ করছে
বর্তমান চীনের মধ্যম আয়ের জনসংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালে এ সংখ্যা ৮০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ব্রিটিশ ঘড়ি সম্পর্কিত ব্র্যান্ড রিপোর্ট’র সিইও অলিভার রিপোর্ট বলেন, এ মেলা তাদেরকে বিশাল বাজার এনে দিতে সাহায্য করবে। ইতালির গাড়ি ব্র্যান্ড ডুকাটি’র চীনের সিইও লুকা বাতিলোরো মনে করেন, চীনে অনেক তরুণ ভোক্তা রয়েছে, যারা জীবন উপভোগ করতে পছন্দ করে। বিশ্বাস করা যায়, চীনা বাজার বাড়তে থাকবে।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করে, চীনা বাজার তাদেরকে অবিচ্ছিন্ন উদ্ভাবন শক্তি যোগাচ্ছে। এবারের ভোগ্যপণ্য মেলায় উন্মোচিত অনেক নতুন পণ্যে চীনা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
জার্মান কার্চার উন্মোচিত নতুন লিথিয়াম-আয়ন ফ্যাব্রিক ক্লিনিং মেশিন এবং স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স চীনা দল তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুরের গৃহস্থালী পণ্য ব্র্যান্ড ওসিম’র প্রতিনিধি বলেন, “চীনা ভোক্তাদের ডিজিটালাইজেশন ও সবুজ ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে। আমরা কাস্টমাইজড পণ্য দিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করবো।”
এছাড়াও চীনের উন্মুক্ত ও বিশেষ ব্যবসায়িক পরিবেশ বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুবিধা যোগাচ্ছে। মার্কিন ব্র্যান্ড কোচ’র চীন শাখার চেয়ারম্যান লিলিয়ানা লুসিওনি জানান, এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তাঁর প্রতিষ্ঠান হাইনানে একটি ডিউটি-প্রি শপ খুলেছে। চীনে আরও বেশি শপ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
এদিকে ১৩৫তম চীনের আমদানি ও রপ্তানি পণ্য মেলা অর্থাৎ ক্যান্ট ফেয়ার বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। চীন বিভিন্ন মেলার মাধ্যমে আরও বেশি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে।