জাপানের ধারাবাহিক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
গত বছর জাপান সরকার স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নতুন দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণ করেছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা থেকে আক্রমণ চালানোর অধিকার পেয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, উভয় দেশ জোট সম্পর্ক থেকে ‘যৌথ প্রতিরক্ষার সহযোগিতা’ চালানোর ‘বৈশ্বিক অংশীদারে’ উন্নীত করেছে নিজেদের।
বিশ্লেষকদের মতে জাপান সরকারের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধন করা এবং সামরিক ক্ষেত্রে সার্বিক ক্ষমতা অর্জন করা।
আসাহি শিম্বুন সম্প্রতি মন্তব্য করেছে যে, ‘একটি 'শান্তিপূর্ণ দেশ’ হিসেবে জাপানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তি হিসেবে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার একটি শক্তিশালী সামরিক প্রভাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মধ্যে সামরিক জোটের উন্নয়ন এখানে মূল ভারসাম্য ভঙ্গ করতে পারে, অন্যান্য দেশে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য লুকানো বিপদ ডেকে আনতে পারে।
জাপান, যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে সামরিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে তার পুরানো পথে ফিরে গেলে এবং সামরিকবাদের পুনরুত্থান ঘটালে তারা আরো বিপজ্জনক অবস্থায় পড়বে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে সিএমজি সম্পাদকীয়তে।