মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ থেকে টাকা আয় করে: সিএমজি সম্পাদকীয়
মার্চ ১০: বিশ্বে নানা যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টাকা আয় করার বিষয়টি গোপনীয় নয়। রুশ-ইউক্রেন সংঘাত অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সেই সঙ্গে ‘শান্তি’ ও ‘গণতন্ত্রের’ কথা মুখে বলা মার্কিন রাজনীতিকরা এ বাস্তবতাও স্বীকার করেছেন। সিএমজি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুদ্ধ থেকে অর্থ উপার্জন একটি ন্যক্কারজনক পদ্ধতি। তবে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাতে খুশি। এতে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব স্বার্থ লাভের জন্য বিশ্বের ক্ষতি করে।
সম্প্রতি, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন হোয়াইট হাউজের এক সম্মেলনে বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন সংঘাত থেকে মার্কিন অর্থনীতি ‘লাভবান হচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করছে, যা মার্কিনীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি করেছে। এতে মার্কিনীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মার্কিন সমর্থনে ইউক্রেনীয়রা অব্যহতভাবে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে, যা মার্কিন অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর।
রুশ-ইউক্রেন সংঘাত হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে গুরুতর ইউরোপের আঞ্চলিক যুদ্ধ, যাতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও ইউরোপের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র তা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে জ্বালানি ব্যবসায়ী এবং কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী পর্যন্ত, সবাই ইউক্রেনের মানুষের দুর্দশা থেকে অনেক অর্থ আয় করেছেন।
মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায়ীদের উদাহরণ দেখা যাক। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে, বিদেশে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়েছে। যা একটি নতুন রেকর্ড। এ খাতে তাদের আয় হয়েছে ২৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিছু বিশ্লেষণে বলা হয়, আয় বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে রুশ-ইউক্রেন সংঘাত।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ২৪০ বছরেরও বেশি সময়ে মাত্র ১৬ বছর যুদ্ধ ছাড়া ছিল। অর্থাৎ, যুদ্ধ থেকে টাকা উপার্জনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এহেন আচরণের বিষয়ে বিশ্বের খুব সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।