বাংলা

দুই বছরে রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণ অনেকবার বুঝানো হয়েছে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-02-24 18:27:05
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ফেব্রুয়ারি ২৪: আজ (শনিবার) রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষের দুই বছর পূর্ণ হলো। এখনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিশ্ব এ সংঘর্ষের কারণ আরো ভালোভাবে জেনেছে এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববাসী। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব মন্তব্য করেছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষ হলো স্নায়ুযুদ্ধের পর ইউরোপে গুরুতর আঞ্চলিক যুদ্ধ। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার কার্যালয়ের পরিসংখ্যানে বলা হয়, দুই বছরে রাশিয়া ও ইউক্রেনে হতাহতের মোট সংখ্যা ৫ লাখের বেশি হয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সংঘর্ষের পর শীঘ্রই বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। কিছু আফ্রিকান দেশে ‘খাদ্য ঘাটতিও’ দেখা যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সংঘাতের নেতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ও জোটগত রাজনীতির নেতিবাচক ফল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তাকে অগ্রাহ্য করেছে। যা সংঘাতে উস্কানি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হলো রাশিয়াকে দুর্বল করা, ইউরোপকে ব্যাহত করা ও বিশ্বে সঙ্কট সৃষ্টি করা; যাতে তা থেকে লাভবান হওয়া যায় ও আধিপত্য বজায় রাখা যায়।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত দুই বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৩দফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে, এসব নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ বন্ধ করে নি এবং রাশিয়ার অর্থনীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে নি। ইউরোপ নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

ইউক্রেনের সংকটকে দীর্ঘায়িত, জটিল ও সম্প্রসারণ করা আন্তর্জাতিক সমাজের সাধারণ স্বার্থের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংলাপ ও আলোচনা হলো একমাত্র সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন বরাবরই বিভিন্ন পক্ষকে যৌক্তিক সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানায় এবং বিশেষ দূতদেরকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে মধ্যস্থতা করতে চায়। চীন অব্যাহতভাবে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পুনরুদ্ধারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn