সংবাদ পর্যালোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা অপব্যবহার গাজায় যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় বাধা
‘একজন আমেরিকান হিসেবে আমি লজ্জিত যে আমার দেশ ইতিহাসের ভুল দিকে ছিল। আমার দেশ এখনও যে ভুলের মধ্যে আছে তাতেও আমি লজ্জিত’— যুক্তরাষ্ট্রের নেটব্যবহারকারীরা এসব মন্তব্য করেছেন। কারণ স্থানীয় সময় ২০ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভেটো দিয়েছে।
আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে আলজেরিয়া এই খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে। এর মূল বিষয় হল গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, অবিলম্বে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া, মানবিক ত্রাণ সামগ্রী গাজায় প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধিত করা। এটা কেবল নিরাপত্তা পরিষদের ঐকমত্য নয়, এটা আন্তর্জাতিক সমাজের ঐকমত্যও। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এতে আবারও ভেটো দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র কেন বার বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর হল ‘এটি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জিম্মি ইস্যুর আলোচনার জন্য অনুকূল নয়’। বিশ্লেষকরা মনে করেন এই বক্তব্য ভিত্তিহীন।
খসড়া প্রস্তাবের সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে জর্ডান, মিশর এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী। যদি প্রস্তাবটি পাস হয়, তাহলে দু’পক্ষের সংলাপের জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করবে, যুদ্ধবিরতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। আর খসড়ায় গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়, যা বিভিন্ন পক্ষ মধ্যস্থতা করতে এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে জিম্মি বিনিময় করতে সাহায্য করবে।
এই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো নিয়ে চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যরা তীব্র হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে: ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার সমতুল্য’; ‘খসড়ার বিপক্ষে ভোট দেওয়া আসলে যুদ্ধকে সমর্থন করা’; ‘গাজায় হতাহত ও মানবিক অবস্থা অসহনীয়’...