ড্রাগন বর্ষের বসন্ত উৎসবে চীনা অর্থনীতির প্রাণশক্তি ‘ অনুভব করেছে বিশ্ববাসী: সিএমজি সম্পাদকীয়
গত বছরের শেষে অনুষ্ঠিত চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনীতি কর্ম সম্মেলনে মহামারির পর ভোগ পুনরুদ্ধার থেকে সম্প্রসারণ দ্রুত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালকে ‘ভোগ প্রচার বর্ষ’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে ভোগ প্রচার কার্যক্রমের আয়োজন করবে। বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপের প্রভাবে চীনের ভোগের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে এবং ভোগ কাঠামো ক্রমাগত উন্নীত হচ্ছে।
বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা ও আন্তর্দেশীয় ই-কমার্সের উন্নয়নের ফলে এবারের বসন্ত উৎসবে অনেক বিদেশি খাবার চীনা মানুষের টেবিলে হাজির হয়েছে। চিলির চেরি, নরওয়েজিয়ান স্যামন, ইকুয়েডরীয় চিংড়ি ও ফ্রেঞ্চ রেড ওয়াইন চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিদেশি খাবার।
চলতি বছর বসন্ত উৎসব প্রথমবারের মত জাতিসংঘের ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বিশ্বের প্রায় এক পঞ্চমাংশ মানুষ বিভিন্ন উপায়ে চীনের বসন্ত উৎসব উদযাপন করেছে। পারস্পরিক ভিসা ছাড়, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সুবিধা এবং বিমান রুট পুনরায় চালু করাসহ বিভিন্ন অনুকূল নীতির জন্য বিদেশে ভ্রমণকারী চীনা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বসন্ত উৎসবে চীনা পর্যটকরা বিশ্বের ১৭০০টিরও বেশি শহরে ভ্রমণ করেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়া চীনা পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের একই সময়ের পর্যায়ে ফিরে এসেছে।
বসন্ত উৎসবের রমরমা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্ববাসী চীনের অতি-বৃহৎ বাজারের সুবিধা দেখেছে এবং চীনা অর্থনীতির উষ্ণতা অনুভব করেছে। তারা চীনা অর্থনীতির তেজ ও শক্তি অনুভব করেছে।
জানুয়ারির শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০২৪ সালে চীনা অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.৬ শতাংশে উন্নীত করেছে। জার্মানির অর্থনৈতিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, জার্মানির কোম্পানিগুলো বিশ্ব বাণিজ্য উত্তেজনায় সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য চীনে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
বর্তমান চীনা অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক ধারার মৌলিক অবস্থা পরিবর্তিত হয়নি। বসন্ত উৎসবকালীন ভোগের চাকচিক্য ও উষ্ণতা চীনা অর্থনীতির ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো বৃদ্ধি করছে। ২০২৪ সালে চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নিরবচ্ছিন্নভাবে হবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি জোগাবে।