বাংলা

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন গণমাধ্যম-যুদ্ধের পেছনে শিল্প-শৃঙ্খল: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-01-04 14:23:32
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জানুয়ারি ৪: ইউরোপীয় স্কলার জ্যান ওবার্গ কয়েকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য প্রকাশ করেন যে, চীন সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরির জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিতে টানা পাঁচ বছর তহবিল বরাদ্দ করার একটি বিলের প্রস্তাব করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের সাংবাদিকের অনুসন্ধানের পর দেখা গেছে, ওবার্গের উল্লেখিত বিলটি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি কর্তৃক পাস করা ‘২০২১ সালের কৌশলগত প্রতিযোগিতা আইনে’র বিষয়বস্তুর সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিলের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে, আমরা দেখতে পেয়েছি যে এটি ‘চীনের বৈশ্বিক প্রভাব’ মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ থেকে ২০২৬ অর্থবছর প্রতি বছর ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (মোট ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘বেল্ট এবং রোড’-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে অনুসন্ধানমূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। বিলে ২০ বারেরও বেশি সিনচিয়াংয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীনের সিনচিয়াং বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এটি চীনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম-যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদ্ধতি ‘আইসবার্গের অগ্রভাগ’ মাত্র প্রকাশ করেছে।

এবার দেখা যাক, কীভাবে ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে জনমত-যুদ্ধের জন্য গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে?

সুইডিশ ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক হুসেন আসকারি, ‘ঋণের ফাঁদ’ শব্দটির উৎপৃত্তি খুঁজে পেয়েছেন। তিনি দেখেন যে, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে এই শব্দটি জনসাধারণের চেতনায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সেই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল থেকে ‘ডেট ডিপ্লোমেসি’ শিরোনামের একটি নথি বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাপিয়েছে। নথিটির লেখকদের একজন ছিলেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের একজন কর্মকর্তা। মনে হচ্ছে ‘ঋণ ফাঁদ’ আমেরিকান মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহযোগিতার একটি পণ্য।

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn