বাংলা

চীন-ফিলিপিন্স সম্পর্ক দেশটির ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের উপরে নির্ভর করে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-12-22 21:23:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ডিসেম্বর ২২: বুধবার চীন ও ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের একটি ফোনালাপ আয়োজন করা হয়। দু’দেশের সম্পর্ক দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যার মুখে পড়েছে। এ সময় ফোনালাপটি আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সিএমজি সম্পাদকীয় বলেছে, চীন-ফিলিপিন্স সম্পর্ক দেশটির ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের উপরে নির্ভর করবে।

সম্পাদকীয়তে দু’দেশের সম্পর্ক সমস্যার মধ্যে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হয়। ফোনালাপে চীন সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, সমস্যার উৎস হচ্ছে ফিলিপিন্সের আগের নীতি পরিবর্তন করা, নিজের প্রতিশ্রুতি নষ্ট করা, অব্যাহতভাবে সাগরে উস্কানি দেওয়া এবং চীনের যথাযথ ও বৈধ অধিকার ও স্বার্থ নষ্ট করা। চীন জোর দিয়ে জানায়, দু’দেশের সম্পর্ক এখন একটি চৌরাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে যাবে, সে বিষয়ে ফিলিপিন্সকে সাবধানে আচরণ করতে হবে।

সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়, কে সঠিক ও কে ভুল তা সুস্পষ্ট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-ফিলিপিন্স সম্পর্ক সুষ্ঠু অবস্থায় রয়েছে। এ বছরের শুরুতে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে চীনে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফারডিন্যান্ড মার্কোসকে অভ্যর্থনা জানায়। তখন দু’পক্ষ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, সেসব মতৈক্য যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় নি। এর প্রধান কারণ হলো ফিলিপিন্স তার চীন সম্পর্কিত নীতি পরিবর্তন করেছে, দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যায় ফিলিপিন্স মাঝে মাঝে উস্কানি সৃষ্টি করেছে এবং উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

রেন’আই রিফ একটি উদাহরণ। রেন’আই রিফ হচ্ছে চীনের নানশা দ্বীপপুঞ্জের অংশ এবং চীনের অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড। যা আন্তর্জাতিক মতৈক্য এবং ‘জাতিসংঘ সনদ’সহ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে, অঞ্চলটিতে ফিলিপিন্স উস্কানি দিয়ে আসছে এবং কিছু পশ্চিমা দেশের সঙ্গে নেতিবাচক কাজ করছে।

বাস্তবতা থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যায় ফিলিপিন্স নিজের প্রতিশ্রুতি লংঘন করে উস্কানি দিচ্ছে, বাইরের শক্তির সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। যা আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতায় প্রভাব ফেলেছে। ফিলিপিন্সের এমন আচরণ ‘জুয়া খেলা’; যা বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

দু’দেশের সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে দীর্ঘমেয়াদে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে দক্ষিণ চীন সাগর বিতর্ক সমাধানের জন্য, চীন অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্য ধারণ করেছে। তবে, তার অর্থ সার্বভৌমত্ব বিষয়ে চীনের আপোষ করা নয়। এ বছর চীন নিজের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে, চীন ফিলিপিন্সের সঙ্গে সংলাপের দরজা বন্ধ করবে না। ফিলিপিন্স চীনের সঙ্গে একযোগে সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিবাচকভাবে কাজ করবে বলে আশা করে বেইজিং। চীন মনে করে, দু’দেশের সম্পর্ক ফিলিপিন্সের ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn