চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক প্রসঙ্গ
গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে প্রধানমন্ত্রী আলবানেসের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এবার বেইজিংয়ের বৈঠকে চীন জোর দিয়ে বলেছে যে, ছোট ছোট গ্রুপ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে না। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেবল গেল কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শিখলে চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক উন্নয়নের রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হতে পারে।
আসলে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনো ঐতিহাসিক সংঘর্ষ বা বিতর্ক ছিল না। দু’দেশে একে অপরকে বিশ্বাস করে এবং পারস্পরিক সাফল্য অর্জন করে। চলতি বছর চীন ও অস্ট্রেলিয়া ওয়াইন ও উইন্ড টাওয়ার বিষয়ক মতভেদ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাঠামোতে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করে এবং মতৈক্যে পৌঁছায়। মতভেদ যথোচিতভাবে সমাধান হলে চীন ও অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের একটি নতুন অবস্থা দেখা যেতে পারে।
এবার সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আলবানেস শাংহাই শহরে ষষ্ঠ চীন আন্তর্জাতিক আমাদানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২০০টি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি মেলায় অংশ নেয়।
দু’দেশের নেতারা একমত হন যে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ অর্থনীতিসহ নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারিত করা হবে। আশা করা যায়, যুগের প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে, চীন ও অস্ট্রেলিয়া সহাবস্থানের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা জোরদার করতে পারবে।