সংবাদ পর্যালোচনা: চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা প্রসঙ্গ
সম্প্রতি তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম বেইজিংয়ে সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ আওতায় উচ্চমানের যৌথনির্মাণ সমর্থনের জন্য ৮-দফা উদ্যোগ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আরও উন্মুক্তকরণের বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে সমর্থন দেওয়া। প্রশ্ন হচ্ছে: আমদানি মেলা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড একে অপরকে কিভাবে আলোকিত করবে?
এবারের আমদানি মেলায় দেশ-প্যাভিলিয়ন নেওয়া ৭২টি অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৬৪টি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশ। আর প্রতিষ্ঠান-প্যাভিলিয়ন নেওয়া ৩৪০০টিও বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫০০টি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসা।
বাংলাদেশের পাটজাতীয় হস্তশিল্পকর্ম আমদানি মেলার মাধ্যমে চীনা বাজারে এসেছে। বাংলাদেশের ডাডা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর বলেন, আমদানি মেলা ও চীনা বাজারের জন্য অনেক পরিবারের ভাগ্য বদলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এবারের আমদানি মেলায় চীন শাংহাইয়ে ‘সিল্ক রোডের ই-কমার্স’ সহযোগিতামূলক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে, যা অনেক দেশের জনগণের জন্য আশার আলো জ্বালাবে।
আগামী ৫ বছরে চীনের মালামাল বাণিজ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ৩২ ট্রিলিয়ন এবং ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বের প্রথম আমদানিকেন্দ্রিক জাতীয় পর্যায়ের প্রদর্শনী হিসেবে, আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা অব্যাহতভাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনা বাজারের সুবিধা ভোগের সুযোগ দিয়ে যাবে। চীনের বড় বাজার বিশ্বের বড় বাজারে পরিণত হবে এবং পরস্পরের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।