বাংলা

ফুকুশিমার পারমাণবিক বর্জ্যপানি সমুদ্রে ফেলা প্রসঙ্গ: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-11-03 16:12:14
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ৩: দেশ-বিদেশের দৃঢ় বিরোধিতা উপেক্ষা করে, জাপানের টোকিও বিদ্যুত্ কোম্পানি গত ২ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ফুকুশিমার পারমাণবিক বর্জ্যপানি সমুদ্রে ফেলা শুরু করেছে। এ কার্যক্রম আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময় সমুদ্রে ফেলা হবে ৭৮০০ টন বর্জ্যপানি। টোকিও বিদ্যুত্ কোম্পানির সূত্রে জানা গেছে, নিঃসরিত বর্জ্যপানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ট্রিটিয়ামের ঘনত্ব পূর্বাভাসের মধ্যে রয়েছে। তবে, এক সপ্তাহ আগে এ প্রতিষ্ঠানে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ফাঁসের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে দু’জন কর্মীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়। তাতে প্রমাণিত হয় যে, পারমাণবিক বর্জ্যপানিকে নিরাপদ বলে জাপানের ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বর্জ্যপানি মোকাবিলার সময় ঝুঁকিকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না।

গত ২৫ অক্টোবর টোকিও কোম্পানির ৫ জন কর্মী দূষিত পানি মোকাবিলার সময় তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে আসেন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে দূষণমুক্ত করার চেষ্টার পরেও তাদের শরীরে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমাণ নিরাপদ মানে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ১২ বছর আগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুত্কেন্দ্রের দুর্ঘটনার পর থেকে এ কোম্পানির স্ক্যান্ডাল অগণিত। সর্বশেষ দুর্ঘটনা শুধুমাত্র সে অগণিত স্ক্যান্ডালের একটি। এ থেকে জাপানের ছড়ানো দুটি দাবিকে খন্ডন করে: এক. পারমাণবিক বর্জ্যপানি নিরাপদ; দুই. বর্জ্যপানি মোকাবিলার প্রক্রিয়া নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য।

বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, ফুকুশিমার পারমাণবিক বর্জ্যপানিতে ৬০টিরও বেশি তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। ট্রিটিয়াম ছাড়া, অনেক নিউক্লাইড প্রযুক্তিগতভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। সমুদ্রে দূষিত পদার্থ নির্গমনকে "ন্যায়সঙ্গত" করার জন্য, জাপান সরকার ও টোকিও বিদ্যুত্ কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জোরালোভাবে প্রচার করেছে যে, এএলপিএস দ্বারা মোকাবিলা করা পারমাণবিক দূষিত পানি নিরাপদ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, জাপানের চলতি বছরের মার্চ মাসের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এএলপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে মোকাবিলা করা পারমাণবিক দূষিত পানির ৭০ শতাংশই যথার্থ মানে পৌঁছাতে পারেনি, যা আবারও শুদ্ধ করা প্রয়োজন।

জাপান দু’মাসের বেশি সময় ধরে পারমাণবিক দূষিত পানি সমুদ্রে নির্গমন করছে। সর্বশেষ দুর্ঘটনায় বোঝা যায় যে, দীর্ঘকালীন আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানব্যবস্থা গঠন করা খুব দরকার।

东京电力公司 Tokyo Electric Power Company 《朝日新闻》Asahi Shimbun

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn