ডিজিটাল রেশমপথ পরিকল্পনা বিশ্বের আধুনিকায়ন দ্রুততর করছে: সিএমজি সম্পাদকীয়
অক্টোবর ২২: চীনের ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন পণ্যপরিবহন পরিচালনা ব্যবস্থার সাহায্যে নাইজেরিয়ার প্রথম পণ্যপরিবহন বেল্ট, প্রথম স্ক্যানিং মেশিন এবং প্রথম টেলিফোন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। লোকেরা যেকোন সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ওয়েবিল চেক করতে পারেন। এখন অনলাইনে কেনাকাটার সময় কয়েক মাস থেকে কয়েক দিনে নেমে এসেছে। এটি হলো ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) যৌথ নির্মাণ ও ডিজিটাল অর্থনীতি জৈব সংমিশ্রণের একটি প্রাণবন্ত প্রমাণ।
বর্তমান বিআরআই যৌথ নির্মাণ উচ্চ মানের উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিশ্বের ডিজিটাল অর্থনীতি উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্ট হয়েছে।
সম্প্রতি আয়োজিত তৃতীয় বিআরআই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শীর্ষ ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর মূল ভাষণে বলেন, চীন প্রতি বছর ‘বিশ্ব ডিজিটাল বাণিজ্য মেলা’ আয়োজন করবে। সদস্য দেশগুলো যৌথভাবে ‘বিআরআই ডিজিটাল অর্থনৈতিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বেইজিং প্রস্তাব’ স্বাক্ষর করেছে। যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চীনের ডিজিটাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে।
বর্তমানে মানবজাতির ডিজিটাইজেশন, নেটওয়ার্কিং এবং বুদ্ধিমত্তা চিহ্নিত শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ ঢেউ চলছে। সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২২ সালে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৩১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৫৮ শতাংশ। কিন্তু ডিজিটাল বিভাজনের কারণে অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সুযোগ ও সাফল্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেনি। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আধুনিকায়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।