জাতিসংঘের দৃশ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কতা: সিএমজি সম্পাদকীয়
সংঘাত শুরুর পর, একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন মধ্যপ্রাচ্য সফর করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার দাবি জানায়। অন্যদিকে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলে যায় এবং ইসরাইলকে সব ধরণের অস্ত্র দেয়। যুক্তরাষ্ট্র গাজায় মানবিক ত্রাণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এতে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজ ভিন্ন।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিফেন ওয়াল্টার সম্প্রতি "ফরেন পলিসি"-তে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, " ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের নতুন দফা যুদ্ধের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্র।"
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুদ্ধে কোন বিজয়ী পক্ষ নেই এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সহিংসতা ব্যবহার করলে সংকট আরও গুরুতর হয়। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক সমাজ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে অবিলম্বে সার্বিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে। চলমান সংঘাত ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়া উচিত, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতকে ঘরোয়া দলীয় সংগ্রামের একটি হাতিয়ার এবং অন্যান্য দেশে আক্রমণ করার সুযোগ হিসাবে দেখা বন্ধ করা উচিত। "একতরফা" আচরণ বন্ধ করা উচিত এবং যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে কাজ করা উচিত। তা না হলে সারা বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।