বিআরআই বিশ্বে কি কি পরিবর্তন এনেছে? সিএমজি সম্পাদকীয়
জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গণ্যপণ্য এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিআরআই শুধু অর্থনৈতিক স্বার্থ নয়, বরং নতুন প্রশাসন গঠন করেছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভারসাম্যহীন এবং প্রশাসনের ব্যবস্থা খুঁত রয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশগুলো আর্থিক সংকটসহ নানা বাধার মুখে পড়েছে। চীন অর্থ বরাদ্দ দিয়ে রেশমপথ তহবিল স্থাপন করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থ সংগ্রহের পথ সম্প্রসারণ করেছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রশাসনের ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করেছে। কেনিয়ার মোম্বাসা-নাইরোবি রেলওয়েতে ট্রেন ভায়াডাক্টে পার হয়। ভায়াডাক্টের নিচে জিরাফ আরামে ঘুরে বেড়ায়। এ রেলওয়ের কারণে জিরাফ সন্তুষ্ট বলে প্রশংসা করেছে বিদেশি গণমাধ্যম। এটি বিআরআইয়ের যৌথ নির্মাণে সবুজায়নের দারুণ উদাহরণ। সবুজায়নের চেতনা নানা নকশা ও প্রক্রিয়ায় মেশানো হয়েছে। ‘বিআরআই জাতিসংঘ এজেন্ডা ২০৩০’র টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ, যা বিশ্বের জলবায়ু প্রশাসনে নতুন চালিকাশক্তি যোগায়।
এ সবকিছু আসলে একটি স্বাধীন নীতিতে পরিচালিত হয়। তা হলো যৌথ আলোচনা, যৌথ প্রতিষ্ঠা এবং যৌথ কল্যাণ লাভ করা। এ চেতনার ভিত্তিতে বিআরআই প্রকৃত সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই এ উদ্যোগ জাতিসংঘ ও চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ দলিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে; যা বিশ্ব প্রশাসনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।
দৃষ্টি প্রসারণ করে দেখা যায়, বিআরআই মানবজাতির আধুনিকায়নের নতুন পথ উন্মোচন করেছে। উন্নত অর্থনৈতিক সত্তার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শ্রম ব্যবস্থা বিভাজনের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো খুব কম অর্থ লাভ করেছে। এমনকি স্বাধীনভাবে উন্নয়নের ক্ষমতা হারিয়েছে। বিআরআই যৌথভাবে আধুনিকায়ন বাস্তবায়নকে লক্ষ্য করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সক্ষমতা উন্নয়নে সাহায্য করেছে। চীন নিজের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং মানবজাতির আধুনিকায়নের যাত্রায় নতুন পথের সুযোগ দিয়েছে। থাইহ্য ইন্সিটিটিউটের ঊর্ধ্বতন মার্কিন শীর্ষ গবেষক এইনার টাংগ্যান বলেন, চীনের সঙ্গে বিআরআইয়ের সহযোগিতার মাধ্যমে কিছু দেশ নিজের ভাগ্য ও ভবিষ্যত পরিবর্তন করেছে।