যে-কারণে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ জরুরি: সিআরআই সম্পাদকীয়
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল নতুন দফার সংঘর্ষ বিগত এক সপ্তাহ ধরে চলছে। দু’পক্ষের ৩৫০০ জনেরও বেশি সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, গাজার মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে।
প্রশ্ন হচ্ছে: কেন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ বার বার ঘটে থাকে? এর মূল কারণ হল ফিলিস্তিন এখনও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়নি; ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার রক্ষিত হয়নি।এ সমস্যা কয়েক দশক ধরে চললেও, এর কোনো সমাধান হয়নি। এবারের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, ‘এক রাষ্ট্র তত্ত্ব’ চলবে না; শুধু ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান করা যাবে। এজন্য, জাতিসংঘ, আরব দেশসমূহ, চীন, রাশিয়া, ইইউ পৃথকভাবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ বিষয়ক আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছে।
বতর্মানে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল নতুন দফা সংঘর্ষ ঘটছে। এতে এটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে যে, ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও, এর কোনো বিকল্প নেই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধান করতে হলে আন্তর্জাতিক সমাজকে এ পথেই হাঁটতে হবে। এই তত্ত্বকে অন্য কোনোকিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যাবে না।
একদিকে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানে, ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তের চেতনা প্রতিফলিত হয়, অন্যদিকে, এই তত্ত্ব হচ্ছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের কাছেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। এ ছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘমেয়াদী শান্তি নিশ্চিত করা যাবে না।
ফিলিস্তিন সমস্যা বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হওয়া উচিত নয়। মধ্যপ্রাচের শান্তির পক্ষে সবার থাকা উচিত। সবচেয়ে নতুন খবরে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যাসংশ্লিষ্ট চীনা সরকারের বিশেষ দূত সম্প্রতি এতদঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশ সফর করবেন। তিনি পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এর পাশাপাশি চীন আহ্বান জানায় যে, জাতিসংঘের উদ্যোগে, তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক শান্তিসম্মেলন আয়োজন করা হোক। ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ বাস্তবায়নের পথ দীর্ঘ এবং এ পথে অনেক বাধাও আছে। তবে, এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মতৈক্য। শুধুমাত্র ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।