সিফটিসে চীনের অর্থনীতির ওপর আস্থা প্রদর্শন: সিএমজি সম্পাদকীয়
বর্তমানে চীনে পণ্যভোগ ও পরিষেবাভোগ সমান গুরুত্বপূর্ণ হবার ধারা দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে পরিবহন, খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থাসহ পরিষেবা খাতে খুচরা বিক্রির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এবারের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ৫০ কোটিরও বেশি দশর্ক চলচ্চিত্র দেখতে সিনেমা হলে যায়। বহুজাতিক কোম্পানির জন্য যেখানে বাজার আছে, সেখানে আছে সুযোগও। পাশাপাশি চীন উন্মুক্তকরণ প্রসারিত করতে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আরও বেশি আস্থা অর্জন করেছে; নির্মাণশিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছে এবং পরিষেবা শিল্পে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রবেশগম্যতা ধাপে ধাপে উন্মুক্ত করছে। এবার সিফটিসে চীন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ, পর্যটন, আইন ও পেশাদার পরীক্ষাসহ নানা ক্ষেত্র বিশ্বের কাছে আরও উন্মুক্ত করা হবে।
কোয়ালকম কোম্পানির দায়িত্বশীল একজন বলেন, চীন উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাল খবর বেরিয়েছে বলে চীনা বাজারের ওপর তার কোম্পানির আস্থা বেড়েছে। পাশাপাশি ভ্যালু চেইনের উচ্চ প্রান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এবার মেলায় ৬৬টি কোম্পানি প্রথম বারের মতো এআই, অর্থ-প্রযুক্তি, চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনসহ নানা ক্ষেত্রের ১২৫টি নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য প্রকাশ করে।
পরিষেবা ব্যবসা চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন চালিকাশক্তি এবং চীনা অর্থনীতি সমস্যা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা এবং জীবনীশক্তির সাক্ষী। চলতি বছর বিশ্বব্যাংক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল চীনের অর্থনীতির জন্য যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে। বিশ্লেষকের মতে, ভবিষ্যতেও চীন বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে থাকবে।
অন্যদের খারাপ কথা বলা নিজেদের ভাল করা যায় না। চীনের টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব আরও সমৃদ্ধ হবে। যারা দরজা বন্ধ করে চীনের সমালোচনা করে, তাদের উচিত চোখ খুলে চীনের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কেমন তা একটু দেখা।