চীন ও আফ্রিকা আধুনিকায়নে সহযাত্রী
অগাস্ট ২৬: সম্প্রতি কেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গারিসা কাউন্টির বাসিন্দাদের উপার্জন বেড়েছে। এর কারণ হলো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে রেস্তোরাঁয় কাজের সময় বেড়েছে এবং কৃষিখাতে জলের ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। চীনের প্রতিষ্ঠানের তৈরি গারিসা সৌরচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হয়েছে; যা কেনিয়ার উন্নয়ন বেগবান করেছে। এভাবে দুই অঞ্চল আধুনিকায়নে সহযাত্রী হয়েছে।
চলতি বছর আফ্রিকায় চীনের বাস্তবতা ও আন্তরিকতা-ভিত্তিক কূটনীতি প্রণয়নের দশম বার্ষিকী। গত ১০ বছরে আফ্রিকায় চীন ৬ হাজারের বেশি রেলপথ, ৬ হাজার কিলোমিটার সড়কপথ এবং ৮০টিরও বেশি বড় আকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গঠনে অংশ নিয়েছে। একটির পর একটি প্রকল্প প্রমাণ করেছে যে, চীন ও আফ্রিকা আধুনিকায়নে সহযাত্রী। এ কথাটি গত ২৪ অগাস্ট চীন-আফ্রিকা শীর্ষ বৈঠকের মূল ভাষণে সি চিন পিংও বলেছিলেন। চীন বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ। আফ্রিকাতেও অনেক উন্নয়নশীল দেশ আছে। দু’পক্ষের মধ্যে রয়েছে গভীর ঐতিহাসিক মৈত্রী, দৃঢ় রাজনৈতিক আস্থা এবং ঘনিষ্ঠ আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা। এ কারণে দুপক্ষ কল্যাণকর সহযোগিতা বাস্তবায়ন করতে পারছে এবং আধুনিকায়নের পথে ভালো বন্ধু ও ভালো অংশীদারে পরিণত হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীন বর্তমানে সার্বিকভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন বেগবান করছে। আফ্রিকান দেশগুলোকে এ উন্নয়নের দ্রুত গাড়িতে উঠতে স্বাগত জানায় চীন। চীন টানা ১৪ বছরে আফ্রিকার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালে আফ্রিকায় চীনের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.৮৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৮ শতাংশ বেশি। বর্তমানে চীন আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষিপণ্য রপ্তানির অঞ্চল। ২০৩৫ সালে চীন ও আফ্রিকার মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা অনেক আফ্রিকান মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। চীনে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি জনাব ওসমান বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন আফ্রিকাকে অনুপ্রাণিত করেছে। পারস্পরিক শিক্ষাগ্রহণ ও উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় প্রত্যাশা করেন তিনি।