তাইওয়ান বিষয়ে জাপানের হস্তক্ষেপ করার কোনো যোগ্যতা নাই: সিআরআই সম্পাদকীয়
আগস্ট ১২: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসো সম্প্রতি চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে যান। সেখানে তিনি বলেন, তাইওয়ানের উচিত ‘চীনে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুদ্ধ চালানোর প্রস্তুতি নেয়া।’ তার এমন বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। তাইওয়ানের কিছু বিশেষজ্ঞ তাঁর সমালোচনা করে বলেন, তাইওয়ানকে জাপান আগে উপনিবেশ বানিয়েছিল। এজন্য তারো আসো দুঃখ প্রকাশ করেন নি। বরং তিনি তাইওয়ানকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তাঁর এমন আচরণ তাইওয়ানবাসীদের ‘আগুনে ঠেলে দিয়েছে।’ জাপানের ওকিনাওয়ার প্রধান ডেনি তামাকি গত ১০ অগাস্ট বলেছেন, তারো আসোর আচরণ জাপান সরকারের নীতি-বিরুদ্ধ। তিনি আশা করেন, জাপান সরকার চীনের সাথে সংলাপ করবে যাতে ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়। এ বিষয়ে কথা বলেছে সিএমজি সম্পাদকীয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করার কোনো যোগ্যতা নাই জাপানের।
১৯৭২ সালে, ‘চীন-জাপান যৌথ ঘোষণা’ প্রকাশিত হয়। এতে চীনা জনগণের গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জাপান গভীর আত্ম পর্যালোচনা করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার হচ্ছে চীনা ভূখণ্ডে একমাত্র বৈধ সরকার। যা জাপানও স্বীকার করে। আর তাইওয়ান হলো চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ- চীনের এ অবস্থানের প্রতি জাপান সম্মতি দেয় ও সম্মান প্রকাশ করে।
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের উপপ্রধান হিসেবে, তারো আসোর এবারের তাইওয়ান যাত্রায় জাপান সরকারের কিছু উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়। যাতে জাপানের ডানপন্থী শক্তির ইতিহাস অগ্রাহ্য করা হয়েছে এবং অনুতাপ প্রত্যাখ্যান করার মনোভাব দেখিয়েছে। তবে, তারা বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে ভুলভাবে বিবেচনা করেছেন। জাপানের কিছু রাজনীতিক আগের মতো উপনিবেশিক মনোভাব নিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে, তারা অবশ্যই ‘আগুন নিয়ে খেলতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করবে।’ চীনের সম্পূর্ণ একত্রীকরণ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অপ্রতিরোধ্য ঐতিহাসিক প্রবণতা।