চীন-ইউরোপ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে কিছু রাজনীতিকরণের আচরণ প্রভাব ফেলবে না: সিএমজি সম্পাদকীয়
জুন ২৫: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং গত ২৪ জুন জার্মানি ও ফ্রান্স সফর করে বেইজিংয়ে ফিরে এসেছেন। গত এক সপ্তাহে তিনি জার্মানি ও ফ্রান্সের রাজনীতি ও বাণিজ্যিক মহলের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের উন্নয়ন বিশ্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়, বরং সুযোগ সৃষ্টি করে। জার্মান ও ফরাসি নেতৃবৃন্দও স্পষ্টই ‘বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং যে কোনো শিবিরের বৈরিতার বিরোধিতার কথা বলেছেন। বর্তমান পরিবর্তনশীল ও বিশৃঙ্খল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন ও ইউরোপের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা রোধ এবং সহযোগিতামূলক মতৈক্য অর্জনে সম্মত হওয়া বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। চীন-ইউরোপ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে কিছু রাজনীতিকরণের আচরণ প্রভাব ফেলবে না। আজ (রোববার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত বছরের শেষ থেকে চীন ও ইউরোপের মধ্যে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বিনিময় জোরদার হচ্ছে। জার্মান প্রধানমন্ত্রী ওলাফ শোলজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকখোঁ-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকজন নেতা চীন সফর করেছেন। তাঁরা চীনের শীর্ষনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করা এবং চীন-ইউরোপ সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য অর্জন করেছেন। চীনা প্রধানমন্ত্রীর এবারের ইউরোপ সফরের লক্ষ্য হলো সেসব মতৈক্য বাস্তবায়ন করা এবং দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতা বেগবান করা। এবারে চীনা প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে চীন-ইউরোপ সহযোগিতায় নতুন চমক অর্জিত হয়েছে। চীন-জার্মানি প্রধানমন্ত্রীদ্বয় যৌথভাবে ‘সপ্তম চীন-জার্মান সরকারের সংলাপে’ সভাপতিত্ব করেছেন। এতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, উদ্ভাবন, অত্যাধুনিক প্রক্রিয়াসহ ধারাবাহিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফ্রান্সে দু’নেতা দেশ দুটির শীর্ষনেতার মতৈক্য নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁ’র উত্থাপিত ‘নতুন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং কমপ্যাক্ট সামিটে’ অংশ নিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। ইউরোপের হৃদয়ে চীনের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে অভিন্ন কণ্ঠ শোনা গেছে।
সম্প্রতি ইইউ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ‘ঝুঁকি দূর করার’ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো একে ‘চীনকে বাদ দেওয়া’ ধারণা হিসাবে প্রচার করেছে, যা চীন-ইউরোপ সহযোগিতায় নতুন বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা। তবে, এবারের সফরে চীন-জার্মানি এবং চীন-ফ্রান্সের বাস্তব সহযোগিতা গভীর করার বিষয়ে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অর্থাৎ, চীন-ইউরোপ বাস্তব অভিযানের মাধ্যমে সহযোগিতার বন্ধন জোরদার করেছে এবং বিচ্ছিন্নতা রোধ করেছে।