বাংলা

সিআইএ’র গোপন নজরদারি বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি

CMGPublished: 2023-05-06 10:59:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মে ৬: চীনের জাতীয় কম্পিউটার ভাইরাস মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ৩৬০ কোম্পানির যৌথভাবে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দীর্ঘকাল ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বিদেশের বিভিন্ন সরকার, কোম্পানি ও নাগরিকদের তথ্য মনিটর করেছে। তারা বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বিভিন্ন রাজনৈতিক অভ্যুত্থানও পরিচালনা করেছে। তাদের এহেন আচরণ বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বড় হুমকি। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিআইএ। তার ভূমিকা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে তা দেশের সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরা। এসবের ওপর ভিত্তি করেই দেশের নীতিমালা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সিআইএ’র ভূমিকা দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে সংস্থাটি মার্কিন সরকারের কৌশলগত অপচেষ্টার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

স্নায়ুযুদ্ধের পর মার্কিন আধিপত্য সংরক্ষণে ইন্টারনেটে নজরদারি শুরু করেছে মার্কিন সরকার। সিআইএ ইন্টারনেটের হ্যাকারদের মতো কাজ করে বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা পরিচালনা ও সফটওয়্যার গবেষণা করেছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে উইকিলিকস সিআইএ’র ৮৭১৬টি গোপন দলিল প্রকাশ করেছে। এসব দলিলগুলোকে ‘ভল্ট সেভেন’ বলে ডাকা হয়। ২০২০ সালে চীনের ৩৬০ কোম্পানি ইন্টারনেটে একটি সংস্থা আবিষ্কার করেছে। এটি বিশেষভাবে চীন ও তার বন্ধু দেশের ওপর সাইবার হামলা চালায়। এ সংস্থাও ‘ভল্ট সেভেন’র সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, আসলে বহু বছর ধরে সিআইএ মার্কিন সরকারের হাতিয়ার হিসেবে বিশ্ব শান্তি নষ্টে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। তথাকথিত ‘আরব বসন্ত’ আন্দোলনের পর ব্যাপক মানবিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। সিআইএ’র বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn