বিপর্যয়ের মুখে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করা উচিত: সিএমজি সম্পাদকীয়
সাম্প্রতিক দিনে চীনসহ বিশ্বের নানা দেশ ও অঞ্চল তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং সহায়তা দিয়েছে। বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ থেকে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ত্রাণ কাজ করে এবং যুক্তরাষ্ট্র যা করছে তা হতাশাজনক, তবে আশ্চর্যজনক নয়।
২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র বার বার সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে এবং দেশের উপর কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে। এমনকি সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তেল উৎপাদন এলাকা দখল করে ৮০ শতাংশ তেল লুটপাট করেছে। সিরিয়ার মজুদ করা খাদ্য চোরাচালান করেছে এবং খাদ্য-সম্পদ পুড়িয়ে ফেলেছে। দস্যুর মতো আচরণ স্থানীয় মানুষের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
সিরিয়া নয়, গেল কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের আধিপত্য রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার অপব্যবহার করছে। যখন ইরান ও সিরিয়ায় কোভিড-১৯ মহামারি দেখা দেয়, তখন মার্কিন সরকার লক্ষ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধের সংকট উপেক্ষা করে একতরফা অবরোধে অবিচল থাকে। যখন আফগানিস্তান পুনর্গঠনে তহবিলের অভাব দেখা দেয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৭০০ কোটি ডলার সম্পদ ফ্রিজ করে এবং তার মধ্যে একটি অংশ বের করে নাইন-ইলেভেন ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী একটি দেশ দরিদ্র দেশের অর্থ কেড়ে নেয়। দেখতে দেখতে ধ্বংসস্তূপের নিচে মরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ মূল্যবান প্রাণ রক্ষার সময় হারিয়ে ফেলে। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে মার্কিন আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
বিপর্যয়ের মুখে, আশা করা যায়, মার্কিন রাজনীতিবিদ- যারা মানবাধিকার ও মানবিকতার কথা বলেন, তারা বাস্তব কাজের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য মানুষকে সমর্থন দিতে পারবেন। একতরফা অবরোধ তুলে নিয়ে মানবিক সহায়তার দরজা খুলবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগে পরিণত করা ঠিক হবে না।