বাংলা

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যাটোকে নিয়ে আসা জাপান খাড়ার প্রান্তে এগিয়ে যাচ্ছে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-02-02 20:10:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ফেব্রুয়ারি ২: জাপানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সফররত ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। দুপক্ষ এক বিবৃতিতে যৌথভাবে কথিত চীনের সামরিক হুমকি নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান নিয়মিতভাবে ন্যাটোর উদ্যোগ সংস্থা- উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নিতে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কথা বিবেচনা করছে।

আসলে জাপানের কিছু শক্তি নিজেদের স্বার্থে বাইরের শক্তির সঙ্গে যোগ দিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৈরিতা ও সংঘাত নিয়ে আসার অপচেষ্টা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে ন্যাটো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পা রাখা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এশিয়া-প্রশান্ত সহাসাগরীয় সংস্করণের ন্যাটো তৈরি করতে চায় ন্যাটো। জাপানকে তার একটি নির্ণায়ক অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে সংস্থাটি। গত বছরের শুরুতে ইউক্রেন সংঘর্ষের পর জাপান যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই ইউক্রেনকে সামরিক সামগ্রী দান করে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে, যা ন্যাটোর প্রশংসা কুড়িয়েছে। গত জুন মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো ন্যাটো শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পান। এ ঘটনাকে দু’পক্ষের সহযোগিতা উন্নত হওয়ার প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।

জাপানের নতুন নিরাপত্তানীতি অনুসারে, দেশটি ২০২৩-২০২৭ সালে প্রতিরক্ষামূলক বাজেটের পরিমান ৪৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনে উন্নীত করবে। জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ন্যাটোর মানদন্ড অনুসারে সামরিক ব্যয় উন্নত করছে জাপান। একপাশে দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হতে যাচ্ছে জাপান, অন্যদিকে সামরিক শক্তি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি করে চলেছে দেশটি। জাপান সরকারের এ আচরণ দেশটিতে ব্যাপকভঅবে সমালোচিত করছে। আশেপাশের দেশগুলোও তাতে সকর্ত থাকছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn