বাংলা

পশ্চিমা গণমাধ্যম বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতারের সাফল্যকে উপেক্ষা করছে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-12-13 18:11:54
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ডিসেম্বর ১২: চলতি সপ্তাহে, কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। কোন দেশ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতবে, তাও এ সপ্তাহে জানা যাবে। কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম এবার কাতার বিশ্বকাপের খেলার দিকে খানিকটা মনোযোগ দিতে পারে।

বস্তুত, বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে একশ্রেণীর পশ্চিমা গণমাধ্যম, যারা নিজেদের নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ বলে দাবি করে থাকে, খেলা বাদ দিয়ে অন্যান্য ইস্যুতে বেশি সোচ্চার ছিল। দৃশ্যত, এসব গণমাধ্যম বিশ্বকাপের মতো একটি বড় আসর আয়োজনে কাতারের সাফল্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করে এসেছে। বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে বিশ্বকাপের খেলা যে গোটা বিশ্বে একধরনের ঐক্য সৃষ্টি করেছে, তা এসব গণমাধ্যমের কাছে গুরুত্ব পায়নি। তারা ব্যস্ত ছিল ফুটবলকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে।

কাতার প্রথম আরব দেশ যারা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। কিন্তু, বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্যতা অর্জনের পর থেকেই কাতার পশ্চিমাদের অকারণ সমালোচনার লক্ষ‍্যবস্তুতে পরিণত হয়। কাতার বার বার পশ্চিমাদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিয়েছে, কিন্তু পশ্চিমারা তা শুনতে নারাজ।

আসলে, বিশ্বের ক্রীড়া ইতিহাসে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তখনও পশ্চিমা গণমাধ্যম একই ভূমিকা পালন করেছে। এর পেছনে কাজ করেছে পশ্চিমাদের কুসংস্কার ও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি। পশ্চিমারা যেন কিছুতেই অন্য কোনো জাতির সাফল্য বা সামর্থ্যকে সহ্য করতে পারে না। এটা দুঃখজনক ও তাদের নিজেদের জন্যও ক্ষতিকর বটে।

বিশ্ববাসীকে এখন প্রশ্ন করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্ব যদি সত্যিই আরব দেশগুলিতে শ্রম অধিকারের মতো মানবাধিকারের কথা চিন্তা করে, তাহলে কেন তারা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উসকানি দিয়ে ও যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে সেখানে বিশাল মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে ও করছে?

বস্তুত, ক্রীড়াকে রাজনীতির সঙ্গে না-মেলানো উচিত। অথচ পশ্চিমা বিশ্ব কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলকে নিয়ে এই খেলাই খেলে আসছে শুরু থেকে। কিন্তু ফুটবলই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে, পশ্চিমাদের কূটচাল নয়। ফুটবলের আকর্ষণ তাদের কূট-কৌশলের চেয়ে অধিক শক্তিশালী।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn