নতুন যুগে অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে চীন, মঙ্গোলিয়া: সিএমজি সম্পাদকীয়
নভেম্বর ২৮: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (সোমবার) বিকেলে বেইজিং সফররত মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। এসময় দু’নেতা চীন-মঙ্গোলিয়া অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছান। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় সৃষ্টির বার্তা দেওয়া হয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের পর চীন সফরে আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ নেতা হলেন মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম চীন সফর। চীন ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে রয়েছে ৪৭শ’ কিলোমিটারের বৃহত্তম স্থল সীমারেখা। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর চীনকে ৩০ হাজার ছাগল উপহার দিয়েছিল মঙ্গোলিয়া। জবাবে চীনের পক্ষ থেকে চারটি উপহার পেয়েছে মঙ্গোলিয়া। করোনা মহামারি প্রতিরোধে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে মহামারি প্রতিরোধ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে এবং চিকিত্সা সামগ্রী উপহার দিয়েছে চীন। তাতে সুপ্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও সু-অংশীদারিত্বের সম্পর্কের প্রতিফলন হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার পাশাপাশি নিজেদের বেছে নেওয়া উন্নয়ন পথকে সম্মান করে চীন। মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখ একচীন নীতিতে অবিচল থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, চীনের উত্থাপিত বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ ও বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগকে সমর্থন করে মঙ্গোলিয়া। এ ধরণের রাজনৈতিক আস্থা দু’দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।
যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ১৬টি সহযোগিতামূলক দলিল স্বাক্ষর করেছে চীন ও মঙ্গোলিয়া। তাতে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সংযুক্তি এবং জ্বালানি সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গোলিয়ায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে: ‘প্রতিবেশীদের মন যুক্ত হলে ভাগ্যও অভিন্ন হয়’। সুপ্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও সু-অংশীদারিত্বের দেশ দুটো আধুনিকায়নের পথে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন যুগে অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে চীন ও মঙ্গোলিয়া। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।
রুবি/এনাম