প্রকৃত বন্ধু যেভাবে নতুন যুগে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর করে: সিএমজি সম্পাদকীয়
নভেম্বর ২৬: “নতুন পরিস্থিতিতে দু’পক্ষ কৌশলগত সমন্বয় জোরদার করে, মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনের প্রক্রিয়ায়, চীন-কিউবা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠন করবে”। গতকাল (শুক্রবার) বেইজিংয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদক ও সেদেশের প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াস-ক্যানালের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্টদ্বয় বৈঠকে দু’দেশ ও দু’পার্টির রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক এবং নতুন যুগে চীন-কিউবা বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে একমত হন। বস্তুত, চীন-কিউবা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি চীন এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যরিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম কমিউনিটি, যা নতুন যুগে দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নের দিক্নির্দেশনা দেয়।
চীন ও কিউবা পরস্পর থেকে অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিম গোলার্ধে কিউবা-ই প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। সমাজতন্ত্রের পথে কিউবা চীনের নিত্য সঙ্গী। দিয়াজ-ক্যানাল সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের পর চীন সফরে আসা প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান নেতা। এতে চীন-কিউবা সম্পর্ক, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতা, এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আন্তরিক সহযোগিতার দৃশ্য ফুটে ওঠে।
বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন-কিউবা সম্পর্ককে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিশেষ অবস্থানে রাখার ওপর জোর দেন। আর কিউবার প্রেসিডেন্ট বলেন, “চীনের সঙ্গে কিউবার সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ”। বস্তুত, এ বৈঠক দু’দেশের মৈত্রী ও পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির প্রতিফলন।
বর্তমানে চীন কিউবার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। কিউবা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও বটে। কিউবা চিড়িংসহ নানান মত্স্যজাতীয় পণ্য চীনে রপ্তানি করছে। দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতা জনগণের জন্য ব্যাপক কল্যাণ সৃষ্টি করছে। ২০২১ সালে চীন-কিউবা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে ৭.২ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে দু’দেশের বাণিজ্য অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিউবা থেকে চীনের আমদানির পরিমাণ ১৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৮ সালে দু’দেশের মধ্যে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এবারের সফরে দু’পক্ষ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট যৌথ দলিল স্বাক্ষর করবে। এ সব দলিল হবে দ্বিপাক্ষিক বাস্তব সহযোগিতার জন্য নতুন চালিকাশক্তি।