সিএমজি সম্পাদকীয়: বন্দুক সহিংসতা রোধে কতটা আন্তরিক মার্কিন রাজনীতিবিদগণ?
নভেম্বর ২৩: গতকাল (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের চেসাপিক শহরের ওয়ালমার্ট সুপারমার্কেটে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ৬০০তম গুলিবর্ষণের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন সবেমাত্র শেষ হয়েছে; তাই এবারের বন্দুক সহিংসতার বিষয়টি অনেক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্দুক সহিংসতা নামক ‘মহামারী’ মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন। তার পরেও সেদেশে বন্দুক সহিংসতা ঘন ঘন ঘটেই চলেছে।
আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্রের লোকসংখ্যা গোটা বিশ্বের ৪.২ শতাংশ। তবে, দেশটিতে রয়েছে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য তৈরি বিশ্বের ৪৬ শতাংশ বন্দুক। তাই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় মৃত্যুর হার অন্য উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
ইউএস গান ভায়োলেন্স আর্কাইভস ওয়েবসাইট’র সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এছাড়া, আমেরিকানদের মনস্তত্ত্বেও বন্দুক সহিংসতার ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মার্কিন সিটি মিরর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় হতাশা ও উদ্বেগের হার তরুণদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে এবং তারা আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
জীবনের অধিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট বন্দুক সহিংসতা রোধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। আসলে মার্কিন রাজনীতিবিদদের বন্দুক সহিংসতা দমন করার দক্ষতা আছে; তবে, মূল বিষয় হল তাঁরা আসলে এর সমাধান চান কি না- এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।